ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কনকনে ঠান্ডায় দিনাজপুরের গবাদিপশু গুলোও কাঁপছে
দিনাজপুর প্রতিনিধি

হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীতের পাশাপাশি যেন বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সন্ধার পর ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারপাশ। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। 

গত টানা পাঁচদিন ধরে দিনাজপুরে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। দিনাজপুরের এ হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে বিপর্যস্ত এ জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। 

দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি গবাদীপশু-গুলো কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদীপশুগুলো। এসব গাবাদীপশু নিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা। প্রকৃতির এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় জেকে বসেছে গবাদি পশুগুলোর ওপর। প্রতিনিয়তই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগলসহ গবাদিপশু। 

বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন ভুক্তভোগী মানুষ তাদের পশুর চিকিৎসা নিতে আসছেন। খামার মালিকদের শুকনো খাবার, গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস। 

শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ ও বাতাসের গতি .০৩ নটস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

এদিকে, বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খামারিরা গরুগুলো গোয়ালঘরে বেঁধে রেখেছেন। প্রচন্ড শীতে এসব পশুগলো শুকিয়ে গেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পশু গুলোকে চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হাতে গোনা কিছু মানুষ তাদের ছাগলকে পুরাতন কাপড় পরিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ ছাগলেরই যত্ন নিতে পারছেন না। এসব কারণে পশুগুলো শীতকালীন নানা সমস্যায় ভুগছে বলে জানান খামারীসহ কৃষকরা।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তারা নিজেরাই শীতে কাহিল। এরপরও গরুগুলোকে রাতে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। গোয়াল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেয়ার পাশাপাশি গোয়াল ঘরের চারদিকে আটকে দেওয়া হয়। হিমেল হাওয়ার সাথে ঠান্ডা বেশী হওয়ায় গরুগুলোকে বাইরে আনা যায়নি। 

দিনাজপুর সদরের উলিপুরের কয়েল পাখির খামারী আসাদুজ্জামান লিটন জানান, ঘন কুয়াশা আর শীত থেকে কয়েল পাখিকে বাঁচাতে খামারের চারদিকে ঘিরে রাখার পাশাপাশি ভেতরে গরম রাখতে বিদ্যুতের বাল্ব জ্বালিয়ে তাপ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর