ঢাকা, রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চকরিয়ায় ‌‘গোলাপ গ্রাম’ খ্যাত বরইতলীতে জমজমাট ফুলের বাজার
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

১৪ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’কে ঘিরে চকরিয়া উপজেলার গোলাপ ফুল গ্রাম খ্যাত বরইতলীতে গোলাপ, গ্ল্যাডিওলাসসহ ৮ লাখ টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে ফুলচাষি ও শ্রমিকদের মাঝে চলছে উৎসবের আমেজ। সারা বছরের এই দিবসকে তারা ফুল বিক্রির একটি উৎসব মনে করেন। 

বরইতলী গ্রামের গোলাপ চাষি কফিল উদ্দিন বলেন, ৪০ শতক জমিতে গোলাপ ফুল চাষে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বছরে ৩ লাখ টাকার ফুল বিক্রি হয়। এখানে সাধারণত গোলাপ ও গ্ল্যাডিওলাস ফুলের চাষ হয়। প্রতিটি গোলাপ ফুল ১২ টাকা ও গ্ল্যাডিওলাস বিক্রি হয় ১৪ টাকা দরে। আমাদের ক্রেতা হচ্ছে চট্টগ্রামের ফুল ব্যবসায়ীরা। তাদের চাহিদামত ফুল যাত্রীবাহি বাসে তুলে দিলে তারা বাস স্টেশনে এসে নিয়ে যায়। এছাড়া ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও ফুল ক্রয়ের জন্য বাগানে আসে। 

অপর চাষি মঈনুল ইসলাম বলেন, চায়না থেকে কাপড়ের ফুল আমদানির ফলে কাচা ফুলের কদর কমে যায়। তবে সৌখিন মানুষ এখনো কাচা ফুল পছন্দ করেন। কম টাকায় কাপড়ের ফুল পাওয়া গেলেও এখন গোলাপের কদর বাড়ছে।

গোলাপ বাগানের শ্রমিক নাসির উদ্দিন বলেন, একবার গোলাপের চারা রোপন করলে সারা বছর গোলাপ সংগ্রহ করা যায়।  এছাড়া কলম এর মাধ্যমে চারা তৈরী করে বিক্রিও করা হয়। একটি একটি গোলাপ চারা ২০ টাকার দামে বিক্রি করা যায়। বিভিন্ন এলাকার গোলাপ চাষিরা এখানে এসে চারা ক্রয় করে নিয়ে যায়।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, একসময় এই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গোলাপ ফুলের চাষ হতো। মাঝখানে চায়না থেকে কাপড়ের ফুল আসায় চাষ কিছুটা ব্যাহত হয়। এতে বেশকিছু গোলাপ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আবারো গোলাপসহ বিভিন্ন ফুলের কদর বাড়ছে। যারা এই গোলাপ বাগান নিয়ে পড়ে আছে তারা আস্তে আস্তে লাভবান হচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে এই গোলাপ চাষিদের প্রণোদনা দিলে বেকার যুবকদের আয়ের পথ সুগম হবে বলে আমি মনে করি।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর