ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার
নীলফামারী প্রতিনিধি

বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উপকরণ হাতপাখা। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গাতেই রয়েছে হাতপাখার কদর। গ্রীষ্মের খরতাপ থেকে শরীরকে শীতল রাখতে শত শত বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে হাতপাখা। বছরে অন্য সময়ে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় বাজারে তেমন চাহিদা থাকে না। 

প্রচন্ড গরমে প্রতিদিনই বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা। বেলা ১০টার পর বাইরে বেরুতে পারছে না মানুষ। এই গরমে ঘরে বসে থাকার কোনো উপায়ও নেই। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এ অবস্থায় গরমের সখা হাতপাখার কদর বেড়েছে সর্বত্র। বাড়িঘর, দোকানপাট, চলতি পথে হাত পাখা চালিয়ে শরীরটাকে শীতল করছেন অনেকেই।

কেউ কেউ বাড়িতে তৈরি করছেন তাল ও কাপড়ের পাখা।  প্রতিটি হাতপাখা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বাসযাত্রী, হাটবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ও দরিদ্র মানুষের কাছে এই পাখার চাহিদা বেশি।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার গৃহবধূ সাফিয়া বেগম বলেন, বাড়িতে বসে না থেকে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছি। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেশি। তার মতো এলাকার অনেকেই এ কাজ করে ভালো টাকা আয় করছেন।

ডোমার বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবলু বলেন, তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তাই একটি হাতপাখা কিনেছি। গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি তো পাওয়া যাবে। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় এই পাখা কাজে দিচ্ছে।

হাতপাখা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর গরম মৌসুমে বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতপাখা বিক্রি করেন তিনি। এ বছর বেশি বিক্রি হচ্ছে। কারণ প্রচন্ড রোদে পাখার চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।

লোডশেডিং আর প্রচন্ড গরমের কারণে শহর-গ্রাম সর্বত্রই হাতপাখার কদর বেড়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং বেশি হওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি। অসহনীয় তাপমাত্রায় বেড়েছে পাতপাখার চহিদা। বাজারে নানান ধরনের পাখা বিক্রি বেড়েছে। তাল পাতার পাখা, রঙিন সুতার পাখা, রঙিন কাপড়ের পাখা মিলছে ৫০-২০০ টাকায়।

ডিমলা সদর ইউনিয়নের পাটুয়ারী গ্রামের গৃহবধূ রাশিদা বেগম বলেন, আমাদের মতো গরিব মানুষের কোনো উপায় নেই। তবে একটু বেশি সময়ে হাতপাখা নাড়াতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নেই। তাই হাতপাখার বিকল্প কিছু নেই।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে এই জনপদে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। তবে তাপমাত্রা আরও বাড়ার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর