রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে। ভোট গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছেন বিজিবি-র্যাব-পুলিশের সদস্যরা। অপেক্ষা এখন শুধু ভোট গ্রহণের।
সংসদ নির্বাচনের আগে গাজীপুরের ভোটকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাই গতকাল শেষ প্রচার-প্রচারণার দিনেও ঘাম ঝরিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিনভর নগরীর অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন তারা। সংসদ ও রাজশাহী-বরিশাল-সিলেট সিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তার যাচাই হবে গাজীপুরে। লড়াই হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। দুই দলই নির্বাচনী লড়াইয়ের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে রয়েছে। যদিও দুই দলের মেয়র প্রার্থী ছাড়াও আরও পাঁচজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে কে হচ্ছেন গাজীপুরের নগরপিতা তা নির্ধারণ হবে কাল।
একনজরে গাজীপুর ভোটের তথ্য:
এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মাঠে রয়েছেন মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী। মেয়র প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি)।
নির্বাচনে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন ভোটার ভোট দিয়ে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। এ সিটিতে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে; এর মধ্যে ৩৩৭টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৮৮টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুরজুড়ে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের দিন নির্বাচন কমিশনের ৬১ জন নিজস্ব পর্যবেক্ষক মাঠে কাজ করবেন। তারা ভোট গ্রহণে কোনো অনিয়ম হলে তাত্ক্ষণিক নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। সে অনুযায়ী অ্যাকশনে যাবে কমিশন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছেন বিজিবি-র্যাব-পুলিশের সদস্যরা। ভোট উপলক্ষে সিটি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে সব কলকারখানা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার রকিবউদ্দিন মণ্ডল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে ৯ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় যাতে কেউ গোলযোগ, অনিয়ম করতে না পারে তার জন্য বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান