ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারে প্রস্তুত এক লাখ ৫১ হাজার গবাদিপশু
কক্সবাজার প্রতিনিধি
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের খামার মালিক ও গৃহস্তরা। ঈদকে সামনে রেখে বাজার ধরতে প্রস্তুত ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২ টি গবাদিপশু। চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৩ টি।

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলায় কোরবানিযোগ্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২২টি পশু রয়েছে। 

এই পশুগুলোর মধ্যে গরু (ষাঁড়, বলদ, গাভী) ১ লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার ৯৪ টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭ টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯টি। জেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১৪টি ও অস্থায়ী ৩৫ টি। মোট ৪৯টি হাট রয়েছে। আর মেডিকেল টিম রয়েছে ২৭টি। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতোমধ্যে স্থায়ী কিছু হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।

টেকনাফের হ্নীলা এগ্রো ফার্মের সত্বাধিকারী তারেক মাহমুদ রনি বলেন, চলতি বছর প্রচুর পরিমান পশু খামারে মজুদ করা হয়েছে। ছোট বড় ও মাঝারী ধরনের একদম ঘরোয়া পশু পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে তিনি হ্নীলা নাফ ফিলিং ষ্টেশনের পাশে পশু প্রদর্শনী ও বিক্রি করছেন।

কক্সবাজারের বৃহৎ হাট খরুলিয়া বাজারে জুহুর আলম নামে এক ক্রেতা জানান, এ বছর গবাদি পশুর দাম তুলনামূলকভাবে দাম একটু সস্তা মনে হচ্ছে। মানুষ পছন্দের পশু প্রথমে দেখছেন দামে আর সুন্দরে পছন্দ হলে ক্রয় করছেন। তাই আমিও দুইটি গরু ক্রয় করলেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন জানান, কক্সবাজারে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি পশুর যোগান রয়েছে। যা চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে পাঠানো সম্ভব হবে। 

তিনি আরও জানান, গবাদিপশুকে কোনও প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার না করা হয় সেজন্য আমরা খামারি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল আযহার হাট পুরোদমে শুরু হলে প্রতি হাটে মেডিকেল টিম বসানো হবে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর