ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরে মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি
দিনাজপুর প্রতিনিধি

পবিত্র ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলে বিক্রি তুলনামূলক কম ছিল। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে কোনো কোনো হাটে পশুর দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও অনেক হাটে দাম বেশি। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি পড়ছে। অন্যদিকে বড় গরুর চাহিদা কম হলেও মাঝারি জাতের গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে। 

তাই এবার বেশিরভাগ মানুষই কোরবানি ভাগে দেবে বলে অনেকে জানায়। অন্যদিকে ছাগলের চাহিদাও কম নয়। দিনাজপুর জেলায় চাহিদা পূরণ করেও কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে প্রায় ২৮ হাজার পশু। দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে। এসব হাটে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কেনাবেচা। 

এদিকে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু বিক্রিতে লাভ নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। পশু পালনে খরচ বাড়লেও ভালো দামের আশায় অর্থ ও শ্রম দুটোই ব্যয় করছেন। তবে গরুর চেয়ে ছাগল পালন বেশি লাভজনক বলে দাবি করেছেন খামারি রাকিব আহমেদসহ অনেকে। রাকিব আহমেদ জানায়, এ বছরের ছাগলের খামারে বিনিয়োগ সব উঠে এসেছে।   ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়, এবছর রানীগঞ্জ কোরবানির হাটে বড় আকারের গরুর তুলনায় মাঝারি আকারের অর্থাৎ ৩ মণ ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এই সাইজের গরুর দাম ৬০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে। বড় আকারের গরু বা ৪ মণ ওজনের গরুর চাহিদা তুলনা মূলকভাবে কম।   ঘোড়াঘাটের কশিগাড়ী গ্রামের মিন্টু তালুকদার বলেন, তিনি রানীগঞ্জ হাট থেকে ১১কেজি ওজনের একটি খাসি কিনেছেন ৮ হাজার টাকায়। বিরামপুর উপজেলার গরুর ব্যবসায়ী মিস্টার আলী বলেন, রানীগঞ্জ হাটে ৪০-৬০ হাজার টাকা দামের গরু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।   আলোকডিহি গ্রামের খামারি মো. আবদুল্লা হাটে পাঁচটি ষাঁড় এনেছেন। তিনি জানান, তার প্রতিটি গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন ৭৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা।

 অপর খামারি বেলাল জানান, গরুর খাবারের দাম বেশি। বছরে একটি গরু বড় করতে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না।

রানীরবন্দর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, গতবছর ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সে গরু এবার ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এদিকে, হাটে অনেক গরু এলেও দাম কমেনি। ঈদের কয়েকদিন আছে। দাম কম হতে পারে বলে ফিরে যাওয়া ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন জানান, দিনাজপুরে এবার ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৮টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০২টির। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর