ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পশুর ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

দুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই কোরবানির বাজার মিলতে শুরু করেছে। তবে কোরবানি যত নিকটে আসছে তেমনি মানুষের মাঝে আতংকও দিন দিন বেড়েই চলছে। আর এ আতংক হলো ‘লাম্পি স্কিন’। বরগুনার পাথরঘাটায় ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর (গরু) লাম্পি স্কিন ওরাগ। এ রোগে আক্রান্ত গরুর মুখম ল থেকে পা পর্যন্ত গোটা গোটা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগে খামারি বা গৃহস্থরা ধারণা করতে না পারায় নিরাময়ের উদ্যোগ নিতে পারছে না। আসন্ন ঈদুল আজহার আগে ব্যাপকভাবে লাম্পি স্কিন ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিদেও চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। পাথরঘাটার এমন  কোনো বাড়ি বা খামার নেই যেখানে লাম্পি  স্কিনে আক্রান্ত গবাদিপশু নেই।  এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পাথরঘাটা বেশ কয়েকটি পশুরহাটে গরু উঠলেও ক্রেতা কম আসছে।

যার কারণে বিক্রেতাদের মাঝেও হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে। পাথরঘাটা পৌর শহরের পূর্ব বাজারের প্রধান হাট, উপজেলার মানিক খালী, কাকচিড়াসহ বেশ কয়েকটি বাজারে হাতেগোনা কিছু ক্রেতার উপস্থিতি  দেখা গেছে, তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশদের মুখে গরুর নতুন রোগের কথা শোনা যায়। ক্রেতা আবুল হোসেন, আব্বাস উদ্দিন সড়ক এশাধিক ক্রেতা বলেন, গত কয়দিন ধরে মিডিয়ায় গরুর রোগ নিয়ে নিউজ দেখেছি। তাতে এখন গরু কিনতেই তো মনে চাচ্ছে না। অপর ক্রেতা সিরাজুল হক মোল্লা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও  কোরবানি দেওয়ার জন্য কয়েকজন মিলে গরু ক্রয় করার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু গরুর নতুন রোগের কথা শুনে ভাগিরা চলে গেছে তারা গরু কিনবে না।  কোরবানি তো দিতেই হবে এখন খাসি ক্রয় করার ইচ্ছে আছে। পাথরঘাটার মানিকখলী গরুর হাটের বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, চারটা গরু নিযে তিনদিন হাটে আসলাম বিক্রি করতে পারলাম না, সবাই কি জানি গরুর নতুন রোগ বলে না কিনে চলে যায়।  তবে এভাবে চলতে থাকলে  কোরবানির বাজারে ধস নেমে আসবে। পাথরঘাটা উপজেলা  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দ দাস বলেন, এটি ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগের প্রতিষেধক (ভ্যাক্সিন) আবিষ্কার হয়নি। আমরা গোট পক্সের ভ্যাক্সিন দিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খামারি আর গৃহস্থদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং গরু মশারিতে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। তবে খামারি ও গৃহস্থের আতংক হবার কিছু নেই। সচেতনতা এবং চিকিৎসা নিলেই সুস্থ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, এখন তেমন কোরবানির হাট জমে উঠেনি। গরুর চাহিদা আছে অনেক, হয়তো শেষের দিকে জমতে পারে।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর