ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে শিশুর মেরুদণ্ডের স্কোলিওসিস সার্জারি সম্পন্ন
অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে ১২ বছর বয়সী শিশুর স্কোলিওসিস কারেকশন সার্জারি সম্পন্ন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। সম্প্রতি হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. আনিসুল ইসলাম খান ও তার টিম সফলভাবে এই জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেন।

শিশু তাসফিয়া আজম ফারিহা জন্মগতভাবে বাঁকা মেরুদণ্ড জনিত সমস্যায় ভুগছিল। গত ৩ মার্চ ফারিহাকে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর নিউরোসার্জারি বিভাগে আনা হয়। সেসময় তার মেরুদণ্ডের উপরিভাগ একদিকে বেশ খানিকটা বাঁকানো ছিল এবং স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছিল। রোগীর স্বজনরা জানান, ৮ বছর বয়স থেকেই এই সমস্যা তীব্র হতে থাকে এবং বিদেশে নিয়ে এর চিকিৎসাও করানো হয়েছিল।

ডা. মো. আনিসুল ইসলাম খান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বুঝতে পারেন পূর্ববর্তী সার্জারির পরও হাড় বাঁকা রয়ে গেছে এবং কিছু লোহার ভাঙ্গা টুকরা দৃশ্যমান আছে যা পূর্ববর্তী সার্জারিতে ব্যবহৃত হয়েছে, যে কন্ডিশনকে মেডিক্যালের ভাষায় স্কোলিওসিস বলা হয়। অতঃপর, রোগীর পরিবারের সম্মতিক্রমে গত ২১ জুলাই ডা. আনিস স্কোলিওসিস কারেকশন সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন।

ডা. মো. আনিসুল ইসলাম খান বলেন, “ছোট্ট ফারিহাকে যখন প্রথম এভারকেয়ারে আনা হয় তখন তার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা পরামর্শ দ্বারা তাকে বেশিদিন স্বাভাবিক রাখা মুশকিল ছিল। তবে যেহেতু চট্টগ্রামে ইতোপূর্বে এই রোগের চিকিৎসা হয়নি, তাই পরিবার থেকে কিছুটা বিচলিত থাকলেও অবশেষে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা, উন্নত সরঞ্জাম ও দক্ষ মেডিক্যাল টিম দেখে রোগীর পরিবার সার্জারির অনুমতি দেন এবং স্কোলিওসিস কারেকশন সার্জারির মাধ্যমে রোগীর বাঁকা মেরুদণ্ড সোজা করা হয়। সার্জারির পরদিনই রোগী স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করে এবং গত ২৮ জুলাই রোগীকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত যে, চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হসপিটাল-এর মতো একটি হাসপাতাল রয়েছে। একইসাথে দক্ষ ও অভিজ্ঞ একটি টিমের সাথে কাজ করতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত এবং জটিল রোগের চিকিৎসায় এখন আর কোনো রোগীর বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আমি মনে করি।”  

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা 



এই পাতার আরো খবর