আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বা টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে মা হওয়ার পর নারীদের প্রাকৃতিকভাবে অন্তঃসত্তা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা নারীদের প্রতি পাঁচজনে একজন পরবর্তী বছরগুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই অন্তঃসত্তা হয়ে থাকেন।
নতুন পরিবার পরিকল্পনায় এতে আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। পাঁচ হাজার নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তারা। তবে ব্যক্তিভেদে এই ফল ভিন্ন হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার দেওয়া তথ্য মতে, আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশু নেওয়া মায়েরা পরবর্তী বছরই প্রাকৃতিকভাবে অন্তঃসত্তা হতে পারেন।
শেমা তারিক নামের এক নারী জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা বলেছিলেন স্বাভাবিকভাবে তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা শূন্য। তাকে আইভিএফ পদ্ধতিতেই মা হতে হবে।
২০১৮ সালে আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হয়েছিলেন শেমা। তার মতে, ‘কখনোই ভাবিনি আমি ফের গর্ভবতী হতে পারি। আমার বয়স ছিল ৪৩, তারা বলেছিল প্রাকৃতিকভাবে আমার মা হওয়ার সম্ভাবনা এক শতাংশেরও কম। কিন্তু আট মাস অপ্রত্যাশিতভাবে উপলব্ধি করলাম আমি গর্ভবতী। আমার একটি মেয়েও হয়।’
জার্নাল হিউম্যান রিপ্রকাডশনের প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক ডক্টর অ্যানেট থাওয়াইটেস বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে আইভিএফের পর অন্তঃসত্তা হওয়ার হার বিরলের চেয়ে অনেকটা বেশি।’
১১ টি আন্তর্জাতিক গবেষণার ফল মিলিয়ে তারা দেখেছেন, প্রতি পাঁচজনে অন্তত এক জন নারী আইভিএফের পর প্রাকৃতিকভাবেই গর্ভধারণ করে থাকেন। এরমধ্যে অধিকাংশই পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে অন্তঃসত্তা হন।
ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটির সদস্য ডাক্তার মার্টা জানসা পেরেজ বলেছেন, এটা অবশ্যই সুখবর। তবে বয়স বিবেচনায় নারীদের সচেতন থাকতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল