দীর্ঘদিন ধরে ভারত সরকারের বিরোধিতা করার পুরস্কার পেলেন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির আগে তাকে নিজেদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ অ্যাওয়ার্ড দিল পাকিস্তানের সরকার। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) তাকে ওই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ইসলামাবাদ।
জানা গেছে, সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘নিশান-ই-পাকিস্তান’ দেয়ার প্রস্তাব পাকিস্তান সিনেটের উচ্চকক্ষে সর্বসম্মতিতে পাশ হয়। ওই প্রস্তাবে গিলানির নামে ইসলামাবাদের একটি বিশ্ববিদ্যলয়ের নামকরণ করতে বলা হয়েছে সরকারকে। এ ছাড়া জাতীয় ও প্রাদেশিক স্তরে স্কুলের পাঠ্যবইয়েও গিলানীর জীবনীকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, আগামী ৫ আগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি হচ্ছে। ওই দিনটিতে ভারতের মানুষ যখন রাম মন্দিরের ভূমিপূজার সাক্ষী থাকবে ঠিক তখনই কাশ্মীরিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে পাকিস্তান 'কালো দিবস' পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯০ সাল থেকে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন অল ইন্ডিয়া হুরিয়ত কনফারেন্সের প্রধান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। তবে ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকার জেরে তাতে কিছুটা লাগাম পড়ে। এর মাঝেই গত মাসে আচমকা কনফারেন্সের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করছেন বলে জানান তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে হুরিয়ত নেতাদের অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ