নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় গুলি করে কমপক্ষে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যাকারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে দেশটির আদালতে।
ওই হামলা থেকে বেঁচে থাকা ব্যক্তি ও নিহতদের স্বজনদের উপস্থিতিতে এই শুনানি হচ্ছে।
এ ঘটনায় অপরাধ স্বীকার করা ব্রেন্টন ট্যারেন্ট কয়েক বছরের ‘নিখুঁত পরিকল্পনার’ পর তাণ্ডব চালায়। একসঙ্গে যত বেশি পারা যায়, তত মানুষকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিল তার। ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা শুরুর প্রথমদিন (সোমবার) এ কথা জানিয়েছেন একজন প্রসিকিউটর।
গত বছরের ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর বন্দুক হামলা চালায় খ্রিস্টান শ্বেতাঙ্গবাদী সন্ত্রাসী ট্যারেন্ট। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সে ৫১ জনকে হত্যা করে।
পাশাপাশি আরও ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও এক বছরের বেশি সময় পর সব অপরাধ স্বীকার করে ৩০ বছর বয়সী ট্যারেন্ট ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, কোনও ধরনের প্যারোলের শর্ত ছাড়া এই অস্ট্রেলিয়ান যুবকের আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে তার পরিণতি জানা যাবে।
ট্যারেন্ট তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো স্বীকার করে চলতি বছরের মার্চে। ওই সময় থেকেই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন ছিল নিউজিল্যান্ড। যার কারণে অল্পসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে ক্রাইস্টচার্চের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
হামলাকারী ট্যারেন্ট ও তার আইনজীবীরা ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এ শুনানিতে অংশ নেয়।
শুনানিতে বিচারক ক্যামেরন ম্যানডার জানান, ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে আনা প্রত্যেকটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম