ঢাকা, শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হীরা জহরত চুরি-কূটনীতিক খুন নিয়ে সৌদি-থাইল্যান্ডের ৩০ বছরের বিবাদের অবসান
অনলাইন ডেস্ক
এটি একটি ১৯ ক্যারেটের হীরা। এর চেয়েও বড় ৫০ ক্যারেটের নীল হীরা চুরি হয়েছিল

চুরি হওয়া হীরা-জহরত আর কূটনীতিক খুনকে ঘিরে সৌদি আরব এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ৩০ বছরের পুরনো এক বিবাদের অবসান ঘটেছে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুট জান ওচা প্রথম কোনো শীর্ষ থাই নেতা যিনি ১৯৮৯ সালের পর সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এই দুই দেশ আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে।

বিবিসির ব্যাংকক সংবাদদাতা জানান, নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুটের সৌদি আরব সফর ছিল এক মাইলফলক।কারণ, এই সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে এক বিব্রতকর কেলেঙ্কারির পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

৩০ বছর আগের কেলেঙ্কারি

সৌদি আরবে থাইল্যান্ডের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী এক সৌদি রাজকুমারের কাছ থেকে বহুমূল্যের গহনা চুরি করেন। চুরি যাওয়া মালের মধ্যে ছিল একটি ৫০ ক্যারেট নীল হীরা। এসব মণি-মুক্তার প্রকৃত মূল্য সম্পর্কে ওই কর্মীর কোনো ধারণা ছিল না। তিনি থাইল্যান্ডে স্বল্পমূল্যে সেগুলো বিক্রি করেছিলেন।

থাই পুলিশ চুরি যাওয়া গহনার কিছু অংশ উদ্ধার করে সৌদি আরবে ফেরত পাঠায়। কিন্তু দেখা গেল এর বেশিরভাগই ছিল নকল। এরপর থাইল্যান্ডে দায়িত্বরত সৌদি আরবের তিনজন কূটনীতিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। চুরি হওয়া হীরা-জহরতের সন্ধানে যে তদন্তকারীকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়, তিনিও নিখোঁজ হয়ে যান।

এই অপরাধের জন্য সন্দেহ করা হয়েছিল এমন দু'জন থাই নাগরিকও রহস্যজনকভাবে প্রাণ হারান। এই চুরির দায়ে শুধু ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং একজন পুলিশ অফিসারের সাজা হয়েছিল। কিন্তু ওই নীল হীরাসহ চুরি যাওয়া গহনার বেশিরভাগের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

থাই প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি যুবরাজের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এখন দুই দেশই আশা করছে পর্যটন ও পেট্রোকেমিক্যালের মত খাতে সহযোগিতা বাড়বে। এই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, থাই শ্রমিকদের এখন থেকে আবার সৌদি আরবে কাজ করতে দেওয়া হবে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর