ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে রহস্যময় একটি ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টায় রাজধানীর একটি ছাত্রাবাসের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
তবে জাগরেব শহরের মেয়র বলেছেন, ‘যুদ্ধবিমান আকৃতির’ সামরিক ড্রোন বিধ্বস্তের ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি হতাহত না হওয়ার ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ হিসেবে দাবি করেছেন।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ দাবি করেছেন, ড্রোনটি রাশিয়ার তৈরি। তবে তিনি নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি, মনুষ্যবিহীন ড্রোনটির মালিক ইউক্রেন নাকি রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
অনানুষ্ঠানিক সূত্রের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ড্রোনটি সোভিয়েত আমলের টিইউ-১৪১ মডেলের। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও এই ধরনের ড্রোন পরিচালনা করতো।
রাজধানী জাগরেব শহরের মেয়র তোমিস্লাভ তোমাসেভিক বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম জারুণ উপকণ্ঠের বিভিন্ন জায়গা থেকে ড্রোনের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সৌভাগ্য কেউ হতাহত হয়নি। ড্রোনটি একটি বড় ধরনের ‘যুদ্ধবিমান’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ক্রোয়েশিয়া নেতারা বলেছেন, ৪০ মিনিট উড়ার পর ড্রোনটি ক্রোশিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করে আরও সাত মিনিট অবস্থান করে। তারপর রাজধানী শহরে এটি বিস্ফোরিত হয়।
ক্রোশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলাকোভিচ ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশের নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সংঘাতের সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এটা ক্রোয়েশিয়া লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল