ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জুতায় লেগে থাকা রক্তই চিনিয়ে দিল খুনিকে
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে প্রেমিকাকে খুন। ছক মাফিকই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। কিন্তু লাভ হয়নি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিনেমার কায়দায় ভারতের বহরমপুরের তরুণী খুনের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পায়ে লেগে থাকা রক্ত চিনিয়ে দিয়েছে অপরাধীকে।

নিহত তরুণীর নাম সুতপাক। আর অভিযুক্ত তরুণ তারই প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী।

জানা যায়, মেসের সামনে সুতপাকে খুনের আগেই পালানোর পথ ঠিক করে রেখেছিল সুশান্ত। যে বাড়ির দেয়াল টপকে এলাকা ছেড়েছিল, সেই দেয়ালের উপর পেরেক বাকা করে রাখা হয়েছিল, যাতে পালাতে সমস্যা না হয়। খুনের পর সেই দেয়াল টপকে সুশান্ত এলাকা ছাড়ে।

এরপর যায় একটি হোটেলে। সেখানে পালটে নেয় পোশাক। তবে এরই মাঝে প্রেমিকার ফোনে ফোন করেছিল সুশান্ত। এদিকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। শুরু হয় চেকিং। যুবকের বাড়ি মালদহ হওয়ায় মালদহগামী সব গাড়ি আটকে চেকিং শুরু করে পুলিশ।

রাত দশটা নাগাদ একটি ভ্যানে করে কয়েকজন শ্রমিক ফিরছিলেন। তাদের মধ্যেই ত্রিপল গায়ে দেওয়া অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পায় পুলিশ। তার দিকে টর্চের আলো ফেলতেই জুতায় রক্ত দেখতে পান পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান থেকে নামানো হয় যুবককে। জামা পালটে ফেললেও সুশান্তকে চিনতে অসুবিধা হয়নি পুলিশের। ধরা পড়ার পর নির্লিপ্ত কণ্ঠে সুশান্ত জিজ্ঞেস করেছিল, প্রেমিকা বেঁচে আছে কি না।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারের পরও নির্বিকার সুশান্ত। চেহারায় অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এমনকি ঘটনার দিনের কথা নিজেই জানায় সে। জানিয়েছে, যে বন্দুক দিয়ে সকলকে ভয় দেখিয়েছিল সেটা আসলে খেলনা ছিল। সব মিলিয়ে ধৃতকে জেরা করতে গিয়ে হতবাক তদন্তকারীরা।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার যুবক জানায়, খুনের তিনদিন আগে থেকে বহরমপুরেই থাকতে শুরু করেছিল সুশান্ত। সম্পর্কে টানাপোড়েনের পর প্রেমিকাকে বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল অভিযুক্ত যুবক। মীমাংসায় সালিশি সভাও বসেছিল। কিন্তু লাভ কিছুই হলো না।

মঙ্গলবার সুশান্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারপর থেকে বহরমপুর থানাতেই রয়েছে সে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন



এই পাতার আরো খবর