ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রতিবন্ধী শিশুসহ পরিবারকে বিমানে উঠতে বাধা, তদন্তে নামলেন মন্ত্রী নিজেই
অনলাইন ডেস্ক

শিশুসহ এক পরিবারকে বিমানে উঠতে দেয়নি ইন্ডিগো বিমানের কর্মচারী। শিশুটি ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ হওয়ায় বিমানে ওঠার মুহূর্তে ভীষণ ভয় পেতে শুরু করে। এতে বিমানে উপস্থিত অন্য যাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে ভেবে বিমানে উঠতে বাধা দিলেন কর্মচারীটি। ভারতের রাঁচি বিমানবন্দরে গত শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। 

ভারতের বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে টুইটারে লিখেছেন, ‘কোনোভাবেই এই ধরনের আচরণকে সমর্থন নয়। কোনো মানুষেরই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। আমি নিজেই বিষয়টির তদন্ত করছি। পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রবিবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ডিজিসিএ-র প্রধান অরুণ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, এ ব্যাপারে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

এদিকে, ইন্ডিগো বিমানের তরফ থেকে জানানো হয়, তারা কোনোভাবেই পক্ষপাতিত্বকে সমর্থন করেন না। শিশুটিকে ওরকম আচরণ করতে দেখে অনেক যাত্রীই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিমানের এক যাত্রী পুরো ঘটনাটি নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান, অন্য যাত্রীরাও এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি তারা নেটমাধ্যম থেকে বিভিন্ন সংবাদ উদ্ধৃত করে জানান, সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে, ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ কোনও যাত্রী বিমানে যাতায়াত করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোনও বাধা নিষেধ নেই।

সেই মুহূর্তে বিমানে কয়েকজন চিকিৎসকও উপস্থিত ছিলেন। উড়ানের মাঝে শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে তারা যথাসাধ্য সাহায্য করতে পারতেন।

স্থল কর্মীরা জানিয়েছেন, বিমান ছেড়ে দেওয়ার শেষ মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিলেন তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই নিয়ে ঝামেলা চলে। ইন্ডিগো বিমানের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘বাচ্চাটিকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছিল না।’’

ইন্ডিগো বিমানের তরফ থেকে ওই পরিবারকে রাতে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন সকালের বিমানে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন বিমানের কর্মকর্তা। তারা জানিয়েছেন, ‘‘বিমানের কোনও যাত্রী বা কর্মচারীদের কোনও রকম অসুবিধার মুখে ফেলতে চান না।’’

সূত্র : আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর