শুক্রবার (৫ আগস্ট) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে আতিথিয়তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতার এই বৈঠকের দিকে অনেকের চোখ ছিল। কারণ ইউক্রেন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এরদোগানের দেশ।
বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর বলছে, এই বৈঠকে ইউক্রেন সঙ্কট সমাধান, সিরিয়া পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক বন্ধন শক্ত করার ব্যাপারে এরদোগান-পুতিন আলোচনা করেছেন।
সোচির বৈঠক শেষে এরদোগান জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে তুরস্ক ও রাশিয়া কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর সেই আলোচনা বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তুর্কি নেতা।
আর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অনেক বৈশ্বিক বাধা থাকা সত্ত্বেও তুরস্ক ও রাশিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার করতে একমত হয়েছে।’
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তুরস্কে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার হওয়া খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি স্থায়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। আর সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান নিয়েও সরাসরি কোনও কথা বলা হয়নি বিবৃতিতে। তবে জানানো হয়েছে, সিরিয়া সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান ও সন্ত্রাস দমনে একযোগে কাজ করবে তুরস্ক ও রাশিয়া।
এছাড়াও প্রাকৃতি গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প ‘তুর্কস্ট্রিম’-এর জন্য রাশিয়ার প্রশংসা করেছেন এরদোগান। তিনি বলেছে, ‘রাশিয়ার গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য ইউরোপের উচিত তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।’
সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল