বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমাইসা গেলগি বিশেষ ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো বিমান ভ্রমণ করেছেন। তুর্কি এয়ারলাইনসের ছয়টি আসন স্ট্রেচারে পরিণত করে তিনি বিমান ভ্রমণ করতে সক্ষম হোন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী এই নারী প্রায় ৭ ফুট লম্বা। তিনি ওয়েভার সিনড্রোম নামক একপ্রকার রোগে আক্রান্ত। চলাফেরার জন্য এই নারী সাধারণত হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। তবে মাঝেমধ্যে স্বল্প দূরত্বে হেঁটেও চলাচল করেন।
পেশায় সফটওয়্যার ডেভেলপার গেলগি গিনেসের সহায়তায় একটি ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন। হুইলচেয়ারে করে মায়ের সাথে বিমানে ওঠেন। স্ট্রেচারে শুয়ে ১৩ ঘণ্টায় সান ফ্রান্সিসকোতে পাড়ি দেন তিনি।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে গেলগি সাংবাদিকদের জানান, তার ভ্রমণের জন্য স্ট্রেচার প্রয়োজন। প্রথমবারের মতো বিমানে ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুব উত্তেজিত। তার মতো অসুস্থদের জন্য এই ধরনের ফ্লাইট খুবই গুরুত্ব বহন করবে।
গেলগি বলেন, রোগী বহনের জন্যই কেবল স্ট্রেচার সুবিধা সীমাবদ্ধ। কিন্তু স্কোলিওসিস বা মেরুদণ্ডের বক্রতাজনিত অসুখের কারণে আমি একটানা লম্বা সময় বসতে পারি না। তাই আমাকেও স্ট্রেচারে ভ্রমণ করতে হলো।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার উত্তরে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে কারাবুকে বাস করেন এই নারী। নিজের বিশ্বরেকর্ড উপাধি ব্যবহার করে তিনি ওয়েভার সিনড্রোম এবং স্কোলিওসিসের পক্ষে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘাকার মানুষ সুলতান কোসেনও তুরস্কে বাস করেন। সুলতান কোসেনের উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি। সূত্র: ডেইলি সাবাহ
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল