ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দাসপ্রথায় কলঙ্কিত ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইল নেদারল্যান্ডস
অনলাইন ডেস্ক
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ২৫০ বছর ধরে ঔপনিবেশিক দাসপ্রথায় কলঙ্কিত ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। সোমবার টেলিভিশনে এক ভাষণে মার্ক রুট বলেন, আজকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, শত শত বছর ধরে নেদারল্যান্ডস এবং দেশের প্রতিনিধিরা দাসপ্রথায় উদ্দীপকের ভূমিকা রেখেছে এবং এর থেকে লাভবান হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দাসপ্রথার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দোষী এমন কেউ আজ বেঁচে নেই। তবুও নেদারল্যান্ডস দাসদের অবর্ণনীয় ভোগান্তির দায় বহন করে। নেদারল্যান্ডসের দাসপ্রথায় সম্পৃক্ততা শুরু হয় ১৭শ শতকে।

ডাচ ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (ডব্লিউআইসি) মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের বৃহৎ অংশে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে। সেখানকার চিনি, তুলা, কফির বাগানগুলোতে কাজ করানোর জন্য আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস কিনতে থাকে।

লেইডেন ইউনিভার্সিটির সমীক্ষা অনুসারে, ১৬১২ থেকে ১৮৭২ সালের মধ্যে ডাচরা গোল্ড কোস্ট (বর্তমান ঘানা) বরাবর প্রায় ১০টি দুর্গ নিয়ন্ত্রণ করতো, যেখান থেকে দাসদের আটলান্টিক পাড়ি দিতে পাঠানো হতো। ওই সময় ডাচদের হাতে সাড়ে পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ আফ্রিকান নির্যাতিত হয়েছিল। 

১৮শ শতকে বর্তমান সুরিনাম এবং গায়ানাও ডাচদের ক্রীতদাস কেনার অন্যতম বড় বাজার হয়ে ওঠে। এমনকি এশিয়ার লোকদেরও শোষণ করেছিল নেদারল্যান্ডস। ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (ভিওসি) মাধ্যমে ১৭শ শতক থেকেই এশীয়দের দাস বানানো শুরু করে তারা।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের ২০০৮ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভিওসি প্রধানত আরাকানের (বর্তমান রাখাইন রাজ্য) লোকদের দাস বানিয়ে তৎকালীন বাটাভিয়াতে পাঠাতো। বাটাভিয়া ছিল ভিওসি’র প্রধান ঘাঁটি, যা আজকের ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা বলে পরিচিত।

১৮৬৩ সালে নেদারল্যান্ডস দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। কিন্তু সুরিনামের মতো কিছু জায়গায় ডাচ দাসপ্রথা শেষ হয় আরও ১০ বছর পরে। সূত্র: আল জাজিরা

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর