ঢাকা, রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মাস্ক পরতে বারণ করায় নারী চিকিৎসকের তিন বছরের জেল: রিপোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
প্রতীকী ছবি

এখনও বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখনও প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন নতুন মানুষকে আক্রান্ত করছে সংক্রামক এই ভাইরাস। কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণ। যদিও মানুষের সচেতনতা, দ্রুততম সময়ে টিকা আবিষ্কার ও চিকিৎসার কারণে এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এই ভাইরাস।

একটা সময় ছিল যখন সংক্রমণের আশঙ্কায় মানুষকে ঘর থেকেই বের হতে দিচ্ছিল না বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয়েছিল লকডাউন। বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল মাস্ক পরা। একই সঙ্গে ভিড় এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মানুষদের। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

কিন্তু মহামারীর ওই সময় মানুষদের মাস্ক পরতে নিষেধ করায় বিপাকে পড়লেন একজন চিকিৎসক। তাকে প্রায় তিন বছরের সাজা দিয়েছেন স্থানীয় আদালত। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার চিকিৎসার অনুমোদনপত্রও। ঘটনাটি জার্মানির।

জানা গেছে, ওই চিকিৎসক একজন নারী। মহামারীর সময় যখন সবাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ব্যস্ত, তখন দেশের প্রায় ৪ হাজার মানুষকে মাস্ক না পরার ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত মানুষকে তিনি ওই ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা তো দূরের কথা, অনেককে চোখেও দেখেননি তিনি। চিকিৎসকের এই কাজকেই দায়িত্বজ্ঞানহীন উল্লেখ করে তার কড়া শাস্তির দাবি করেছিলেন বিপক্ষের আইনজীবী। কিন্তু তাতে একটুও না দমে গিয়ে আদালতে নিজের অবস্থান প্রমাণ করার চেষ্টা করেন ওই চিকিৎসক। 

আদালতকে তিনি জানান, মাস্ক পরে সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হয়নি। বরং মাস্ক পরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

অবশ্য চিকিৎসকের ওই যুক্তি মানেননি আদালত। তাকে দুই বছর নয় মাস কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৮ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা) জরিমানা করেছেন আদালত। বাতিল করা হয়েছে তার চিকিৎসার অনুমতিপত্রও। এর পাশাপাশি ওই নারী চিকিৎসকের সহকারীকেও ২৭০০ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা) জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সূত্র: ফক্স নিউজ, সিটিভি নিউজ, এবিসি নিউজ, বস্টন২৫ নিউজ, দ্য ফ্রন্টিয়ার পোস্ট, মর্নিংস্টার অনলাইন, রেকর্ড প্যাট্রয়িট, টরন্টো সান 

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর