ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইমরানকে সরানোর আদেশ স্থগিত
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন লাহোর হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাওয়াদ হাসান এ আদেশ দেন।

তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন।

 সংবিধানের ৬৩(১)(পি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইমরানকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বুধবার আদালতে পিটিশন দায়ের করেন ইমরান খান। তার আবেদন গ্রহণ করে গতকাল শুনানি করেন আদালত।

গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরানের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন হয়। তার পতনের পর শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন ইমরান। তিনি আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন।

রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির তথ্য গোপন করায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পার্লামেন্ট সদস্যপদ খারিজ এবং তাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। 

তোশাখানা বিতর্ক শুরু হয়েছিল ২০২১ সালে। ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে ছাড় মূল্যে উপহার কিনে পরে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেছেন—এমন তথ্য প্রকাশ্যে এলে এ বিতর্ক শুরু হয়।

পাকিস্তানে তোশাখানা দপ্তর ১৯৭৪ সালে চালু হয়েছিল। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আইনপ্রণেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার সেখানে সংরক্ষণ করা হয়। তোশাখানা নীতি অনুযায়ী, সব উপহার এই বিভাগে জমা দিতে হবে। তবে উপহার পাওয়া ব্যক্তি উপহারগুলো ছাড়মূল্যে কিনে নিতে পারবেন।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাখানা থেকে ৫২টি উপহার নেন। তিনি আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে নামমাত্র মূল্যে এসব উপহার কিনে নেন। অধিকাংশ উপহার তিনি বিক্রি করে দেন। সূত্র: ডন

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর