আমেরিকার নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রভাবশালী সিনেটর বব মেনেন্ডিস বলেছেন, তুরস্ক ন্যাটো জোটের কোনো বিশ্বস্ত মিত্র নয়। সে কারণে আংকারার কাছে বাইডেন প্রশাসন যে দুই হাজার কোটি ডলারের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন তা বাতিল করা উচিত।
বিমান বিক্রির বিষয়ে জোরালো বিরোধিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তিনি এই চুক্তি আটকে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
বব মেনেন্ডিস বলেন, “তুরস্কের কাছে এফ -১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রির বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিষয়ে আমি জোরালোভাবে বিরোধিতা করছি।”
তিনি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান না জানানোর জন্য দায়ী করেন।
এছাড়া এরদোগান আন্তর্জাতিক আইনকে বাধাগ্রস্ত করা এবং তুরস্কের ভেতরে ও প্রতিবেশী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে লিপ্ত বলে তিনি অভিযুক্ত করেন। মেনেন্ডিস বলেন, এফ-১৬ বিমান পেতে হলে তুরস্ককে অবশ্যই মিত্রের মতো কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায় যে, তারা কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রির বিষয়টি জানিয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তুরস্ক এসব বিমানের জন্য মার্কিন সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে বলেছিল, তারা ৪০টি নতুন এফ-১৬ জঙ্গিবিমান কিনতে চায় এবং তাদের বহরে থাকা ৮০টি বিমান আধুনিকায়নের আশা করছে।
বব মেনেন্ডিস হচ্ছেন মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান। এছাড়া, অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী সেনেটর। সে ক্ষেত্রে তার এই বিরোধিতা তুরস্কের এফ-১৬ বিমান পাওয়ার পথে বড় রকমের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বব মেনেন্ডিস তুরস্কের প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দ্বি গ্রিস সরকারের কাছে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রির পক্ষ নিয়েছিলেন।
এদিকে, শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইবরাহিম কালীন বলেন, আমেরিকা যদি তুরস্ককে এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ বিমান সরবরাহ না করে অন্যদিকে ঠেলে দেয় এবং তুরস্ক যদি এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন আমেরিকা আবার তুরস্ককে দায়ী করবে। এটি আসলে ন্যায্য কথা নয়।
মূলত এ কথার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ইবরাহিম কালীন।
সূত্র : রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত