আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় চীনের সেই ভূপাতিত বেলুনের সব ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কর্মকর্তারা প্রাথমিক বিশ্লেষণ শেষে জানিয়েছেন, বেলুনটি নজরদারি করছিল। যদিও চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এটি বেসামরিক যান যা আবহাওয়ার তথ্য নিচ্ছিল। ভুলক্রমে এটি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশে গোয়েন্দা বেলুনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। চীনের এই বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল’ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার ওপর উড়ছিল।
৪ ফেব্রুয়ারি এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করা হয়। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে। পরবর্তীতে উত্তর আমেরিকার অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড ও ইউএস নর্দান কমান্ড জেনারেল গ্লেন ভ্যানহার্ক বলেন, মার্কিন নৌবাহিনী বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কোস্টগার্ড।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নোবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর সদস্যরা মহাসাগরের তলদেশ থেকে বেলুনের সব ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত জিনিসের ভেতর পেলোডের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি আছে। এটার মাধ্যমে পাওয়া যাবে, বেলুনটি কী তথ্য নজরদারি এবং সংগ্রহ করছিল।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলুনের সর্বশেষ অংশ গবেষণার জন্য এফবিআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবার সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, বেলুন নিয়ে চীনের সঙ্গে কয়েকসপ্তাহ ব্যাপক উত্তেজনার পর যুক্তরাষ্ট্র উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করল। চীনের দাবি, বেলুন নজরদারির বস্তু ছিল না, যুক্তরাষ্ট্র খামোখা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল