ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি কমছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার: ওইসিডির সমীক্ষা
অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে- এমন পূর্বাভাস দিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। ২০২২ সালে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছর তা কমে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমলেও থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে তার বিপরীত। ২০২২ সালে থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছর দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। ওইসিডির ‘ইকোনমিক আউটলুক ফর সাউথইস্ট এশিয়া, চায়না অ্যান্ড ইন্ডিয়া ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আঞ্চলিক অর্থনীতিতে থাইল্যান্ড বর্তমানে ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি সত্ত্বেও ২০২৪ সালে দেশটির জিডিপি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছর ভিয়েতনামের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়। দেশটির জিডিপি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে। তার পরেই ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার অবস্থান। চলতি বছর তাদের জিডিপি যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭ ও ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওইসিডি। 

ওইসিডির প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে কম হবে। তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে যথাক্রমে ২ দশমিক ২ ও ২ শতাংশ। অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতি চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার প্রধান কারণ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ওইসিডি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রধান কেনসুকে মোলনার-তানাকা জানান, ২০২২ সালে এ অঞ্চলের অনেক দেশ ভালো ব্যবসা করেছে। তবে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে তা কমা শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘এ বছর ব্যবসার পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতির কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

করোনা আতঙ্কের কারণে সতর্কতা হিসেবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চীনের সীমান্ত পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে চলতি বছর থাইল্যান্ডের ট্যুরিজম ও রফতানি খাত লাভবান হবে বলে জানান ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর আলিসারা মাহাসানদানা। থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ট্যুরিজমের ওপর বেশি নির্ভরশীল। ফলে করোনা মহামারীর কারণে অন্য দেশের তুলনায় থাইল্যান্ড বেশি চাপে পড়েছিল। সূত্র: ব্যাংকক পোস্ট

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর