ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় অন্তত ১২৯ জনের ও প্রতিবেশী উগান্ডায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন বাড়িতে আটকা পড়াদের উদ্ধারের প্রচেষ্টার মধ্যেই দুই দেশ মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হওয়ার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সির পোস্ট করা একটি ভিডিও ক্লিপে তলিয়ে থাকা রাস্তার ওপর দিয়ে ঘোলা পানির স্রোত বয়ে যেতে ও ঘরবাড়ি ধ্বংস হতে দেখা গেছে।
দেশটির ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের কারোঙ্গি জেলার বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলিক নিবাগওয়্যার (৪৭) বলেন, “রাত ২টায় আমরা ঘুম থেকে জেগে শুনি লোকজন চিৎকার করছে।”
পশ্চিম রুয়ান্ডার এই কারোঙ্গি জেলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই জেলারই আরেক বাসিন্দা নিয়ান্দউই ইমানুয়েল জানান, রাতে তার ভাড়া বাড়ি ধসে পড়ে ঘুমন্ত তিন আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে।
রুয়ান্ডা সরকারের উপমুখপাত্র অ্যালাইন মুকুরারিন্দা জানিয়েছেন, বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর হাবিতেগেকো ফ্রাঁসোয়া বলেছেন, “আমাদের অগ্রাধিকার এখন ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছানো, যেন সেখানে কেউ আটকা পড়ে থাকলে তাকে উদ্ধার করতে পারি।”
তিনি জানান, কিছু লোককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেবেয়া নদীর পানি পাড় উপচে বন্যা দেখা দিয়েছে।
“আগের দিনগুলোতেও বৃষ্টি হওয়ায় মাটি নরম হয়ে ছিল, পরে তা ভূমিধসের কারণ হয় আর তাতে রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়,”বলেন তিনি।
এক বিবৃতিতে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে বলেছেন, তার সরকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে অস্থায়ী স্থানান্তরসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিচ্ছে।
রুয়ান্ডার প্রতিবেশী উগান্ডার সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকার কিসোরো জেলায় বুধবার রাতে ভূমিধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উগান্ডা রেড ক্রস জানিয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন এক পরিবারের সদস্য।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ