ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চীনের মধ্যস্থতায় ২০২৩-এর শেষ নাগাদ ইউক্রেনে শান্তি দেখছেন কিসিঞ্জার
অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মনে করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেন সংঘাত বড় একটি টার্নিং পয়েন্টের দিকে এগোচ্ছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকেই চীনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে।

গত রবিবার ৯৯ বছর বয়সী এই কূটনীতিকের সাক্ষাৎকারটি প্রচার করে সিবিএস। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যেহেতু চীন শেষ পর্যন্ত আলোচনায় প্রবেশ করেছে, এর একটা গতি হবেই। আমার ধারণা, এ বছরের মধ্যেই সেটা হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা দেখব, ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে দরকষাকষি শুরু হয়েছে। এমনকি সত্যিকারের আলোচনা দেখতে চলেছি আমরা। 

গত বছরের ২৩ মে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কিসিঞ্জার বক্তৃতা করেন। তিনি মত দেন, যুদ্ধ অবসানে ইউক্রেনের উচিত, রাশিয়ার কাছে নিজের ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিব্রতকর পরাজয় কামনা না করতেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান কিসিঞ্জার। তেমনটি হলে তা ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

ইউরোপে রাশিয়ার গুরুত্বের কথা পশ্চিমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে কিসিঞ্জার বলেন, রাশিয়ার ব্যাপারে অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।

কিসিঞ্জারের মন্তব্য তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। তার মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেন সমালোচকেরা। তাকে উপহাস করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তিনি (কিসিঞ্জার) দূর অতীত থেকে জেগে উঠেছেন।

কিসিঞ্জারের দৃষ্টিভঙ্গিকে ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানির মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, কিসিঞ্জারের ক্যালেন্ডারটি ২০২২ সালের নয়, ১৯৩৮ সালের। তিনি ভেবেছিলেন, তিনি দাভোসে নয়, সেই সময়ের মিউনিখে শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।’ সূত্র: নিউজউইক

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর