ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যে গুঞ্জন হ্যারিকে এখনও কষ্ট দেয়
অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্স হ্যারি এবং মেজর জেমস হিউইট

রাজা তৃতীয় চার্লসের সন্তান নন প্রিন্স হ্যারি, এমন গুঞ্জন বছরের পর বছর হ্যারিকে ভয়াবহ কষ্ট দিয়েছে। সম্প্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিতে  গিয়ে প্রিন্স হ্যারি এই তথ্য জানিয়েছেন।

৬ জুন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় দ্য ডিউক অব সাসেক্স (হ্যারি) বলেন, তাকে রাজপরিবার থেকে ‘সরিয়ে দিতে’ যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েডের সাংবাদিকেরা তাকে মেজর জেমস হিউইটের সন্তান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপল-এর প্রকাশক কোম্পানি মিরর গ্রুপ নিউজপেপার্সের (এমজিএন) বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে মামলা করেছেন হ্যারি। এর মধ্যে ২০০২ সালে দ্য পিপল–এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘হ্যারির ডিএনএ ছিনতাইয়ের ষড়যন্ত্র’।

আদালতে প্রিন্স হ্যারি বলেন, তার মা প্রিন্সেস ডায়না জেমস হিউইটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করার পর বেশ কয়েকটি পত্রিকা হ্যারির আসল বাবা মেজর জেমস হিউইট এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। গুঞ্জনটি যে মিথ্যা ছিল আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে তা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, হিউইটের সঙ্গে তার মা ডায়ানার সম্পর্ক তার জন্মের কয়েক বছর পর শুরু হয়েছিল।

হ্যারির ভাষায়, ‘আমার বয়স তখন ১৮ বছর, মাত্র ৬ বছর আগে মাকে হারিয়েছি, ওই সময় এ ধরনের গল্পগুলো আমরা জন্য ধ্বংসাত্মক ও বাস্তব মনে হতো। এগুলো খুব কষ্টের, নিম্নরুচির ও নির্মম ছিল। আমি সব সময় ভাবতাম, এসব বলার পেছনে কারণ কী? সংবাদপত্রগুলো কি জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করে দিতে চায়, যাতে আমাকে রাজপরিবার থেকে বের করে দেওয়া হয়?’

আত্মজীবনী স্পেয়ার–এ এসব গুঞ্জন প্রসঙ্গে প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, রাজা চার্লস প্রায়ই তার আসল বাবা না হওয়া নিয়ে নিষ্ঠুর ও অদ্ভুত রসিকতা করতেন। তিনি সব সময়ই গল্প দার্শনিকতার মধ্য দিয়ে শেষ করতেন, ‘কে জানে, আমি সত্যিকারের প্রিন্স অব ওয়েলস  কি-না? কে জানে আমি সত্যিই তোমার বাবা কি না?’

এমন অদ্ভুত মজার কথা বলে তিনি শুধু হাসতেন আর হাসতেন। তখনই গুজব ছড়িয়ে পড়ে, আমার প্রকৃত বাবা হলেন আমার মায়ের সাবেক প্রেমিক মেজর জেমস হিউইট। এর একটি বড় কারণ হলো-  মেজর হিউইটের চুলও ছিল প্রিন্স হ্যারির মতো লালচে। প্রিন্স হ্যারির মতে আরেকটি কারণ হতে পারে, অন্যকে মানসিক কষ্ট দিয়ে আনন্দ নেওয়া। ট্যাবলয়েডের পাঠকেরা এটা ভেবে মজা পেতেন যে, প্রিন্স চার্লসের ছোট ছেলে আসলে তার ছেলেই নয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট–এর তথ্য অনুসারে, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্যের সামরিক অশ্বারোহী বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হিউইটের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির মা ডায়ানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তখন অবশ্য ডায়ানা চার্লসের স্ত্রীই ছিলেন। ১৯৮৬ থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত হিউইট ও ডায়ানার এ সম্পর্ক টিকে ছিল। অথচ প্রিন্স হ্যারির জন্ম ১৯৮৪ সালে। হিউইটের সঙ্গে ডায়ানার দেখা হওয়ার দুই বছর আগে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর