ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিকিমের পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, অবরুদ্ধ বাংলাদেশিসহ অসংখ্য পর্যটক
চলছে উদ্ধারকার্য
দীপক দেবনাথ, কলকাতা প্রতিনিধি
সিকিমের পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ, অবরুদ্ধ বাংলাদেশিসহ অসংখ্য পর্যটক

ভারতের সিকিম রাজ্যে গত ১৪ জুন থেকে অবিরাম বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অসংখ্য পর্যটক। এর মধ্যে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বিদেশি পর্যটকরাও আছেন। 

সিকিম রাজ্য সরকারের তরফে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূলত একটানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে উত্তর সিকিমে অন্তত দুই হাজারেরও বেশি পর্যটক আটকা পড়েছে।

উত্তর সিকিম জেলার সদর শহর মাঙ্গান থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তাটি পেগং সাপ্লাই খোলা নামক জায়গায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটে বলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

এর ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত লাচেন এবং লাচুং এলাকার বিভিন্ন হোটেলে আটকা পড়েছেন ১৯৭৫ জনের দেশি পর্যটক ও ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের, ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং ৩ জন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 

কর্মকর্তারা আরো জানান যে, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪৫টি চার চাকার গাড়ি এবং ১১ টি মোটরবাইকও আটকা পড়েছে। বৃষ্টি থামলেই রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে বলেও জানান তারা।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘১৫ জুন রাতের পর থেকে ১৬ জুন গোটা দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিংটাম-ডিকচু-রাংরান-মঙ্গন-চুংথাং সংযোগকারী রাস্তাগুলোর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধস দেখা গেছে এবং কিছু রাস্তা তো পানির তোড়ে ভেসে গেছে।’

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, গত ১৫ জুন সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিট নাগাদ সিকিমের রাঙ্গারাংয়ের উভয় দিকেই ক্ষয়ক্ষতি শুরু হয়েছিল, আর তখনই ভূমিধসের কারণে শহরের উভয় দিক থেকে রাস্তাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।

ভূমিধস এবং পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কুইক রেস্পন্স টিমের সদস্যরা, সিকিম পুলিশ, সেনাবাহিনী, ইন্দো টিবেতান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ট্রাভেল এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। 

অন্যদিকে রাস্তায় পড়ে থাকা বড় বড় পাথরের বোল্ডার/চাঁই গুলিকে সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও) কর্মকর্তারাও। কার্যত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে উদ্ধার কাজ। 

আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে ১৯টি বাস এবং প্রায় ৭০ টি ছোট ছোট গাড়ি পাঠানো হয়। এখনো পর্যন্ত ৩টি বাস এবং ২টি ছোট গাড়িতে করে প্রায় ১২৩ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর