ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টাইটানিক থেকে টাইটান: দুই ট্র্যাজেডির মাঝখানে দাঁড়িয়ে যিনি
অনলাইন ডেস্ক

টাইটানিক অভিযাত্রায় গিয়ে ১৯১২ সালে অতল জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন আইসিডর স্ট্রাউস ও আইডা স্ট্রাউস দম্পতি। সেই ট্র্যাজেডির দৃশ্য দেখা গেছে টাইটানিক সিনেমাতেও।

টাইটানিকের একটি দৃশ্যে দেখা যায়, জাহাজটি ডোবার আগ মুহূর্তে মৃত্যুর অপেক্ষায় একে অন্যকে জড়িয়ে শুয়ে আছে এক প্রবীণ যুগল। বাস্তবে ঘটনাটি ছিল স্ট্রাউস দম্পতির। এরা সেই ট্র্যাজেডির সাথে টাইটান মিলিয়ে দিল আরেকটি করুণ গল্প। আটলান্টিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে অতল জলে হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির চালক স্টকটন রাশ স্ট্রাউস দম্পতির প্রপৌত্রী ওয়েন্ডির স্বামী।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবর বলছে, স্ট্রস দম্পতির একমাত্র মেয়ে মিনি। ১৯০৫ সালে তিনি ডা. রিচার্ড উইলকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের পুত্র জুনিয়র উইলের পুত্র তৃতীয় রিচার্ড উইলের মেয়ে ওয়েন্ডি রাশ। আর ওয়েন্ডির স্বামী রাশই সেই ট্র্যাজেডির অংশ হলেন সময়ের বিবর্তনে।

আইসিডর স্ট্রাউস ও আইডা স্ট্রাউস ছিলেন টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির যাত্রী। তাদের জন্ম জার্মানিতে হলেও বিয়ের পর সপরিবারে আমেরিকায় চলে আসেন। ১৯১২ সালে টাইটানিকের মেইডেন যাত্রায় আইসিডর ও তার স্ত্রী ছিলেন ধনী যাত্রীদের মধ্যে অন্যতম। টাইটানিক ডোবার আগে যাত্রীদের লাইফবোটে তোলার চেষ্টা চলছিল। সীমিতসংখ্যক লাইফবোট থাকায় সবাইকে তোলা সম্ভব ছিল না।

এর মধ্যে নারী ও শিশুদেরই প্রাধান্য দেওেয়া হচ্ছিল। আইসিডরকে লাইফবোটে উঠতে বলা হয়েছিল। তবে নারী ও শিশুদের তাতে চড়তে সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তা দেখে তার স্ত্রী আইডাও সরে দাঁড়ান, স্বামীকে ডুবন্ত জাহাজে রেখে তিনি যেতে চাননি। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযানে আইসিডরের মরদেহ পাওয়া যায়। আইডার দেহাবশেষ মিলিয়ে যায় সমুদ্রে।

এই স্ট্রাউস দম্পতির প্রপৌত্রী ওয়েন্ডি ১৯৮৬ সালে বিয়ে করেন বিমানচালক স্টকটন রাশকে। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার জন্য তারাই তৈরি করেন সাবমেরিন টাইটান। তারা ২০০৯ সালে ‘ওশেনগেট এক্সপেডিশনস’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। নিহত স্টকটন রাশ ডুবোযান টাইটানের পাইলট ছিলেন। 

সূত্র: সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর