ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন খবর চাউর হতেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সাধারণ মানুষ চরম আকারে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবেন। খোদ মার্কিন প্রশাসনের অনেকেই এমন জীবনঘাতী সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই গুচ্ছ বোমা আসলে কী? এই বোমা তৈরির ক্ষেত্রে অনেকগুলো ছোটো ছোটো চিকন বোমাকে একটি রকেটে পুরে দেওয়া হয়। এরপর যন্ত্রের সাহায্যে এগুলো মাঝ আকাশ থেকে লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া হলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সংকটের জায়গা হলো ভেজা কিংবা নরম জায়গায় পড়লে অনেক সময় এই বোমা অবিস্ফোরিত থেকে যায়। যা ওই অঞ্চলে দীর্ঘ মেয়াদী ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও এই ধরনের বোমায় অনেক প্রাণহানী ঘটে।
সাধারণত একসাথে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে হামলা চালাতে এই বোমা ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বের শতাধিক দেশ এই বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কারণ অনেক সময়ই এই বোমাগুলোকে বাছবিচারহীনভাবে জনবহুল এলাকায় ব্যবহার করতে দেখা গেছে। শিশুরাই অনেক সময় এর নির্মম শিকার হয়ে থাকে। অনেক সময় পরিত্যক্ত বোমাগুলোকে ছোট খেলনা ভেবে শিশুরা তুলতে গিয়ে আহত কিংবা নিহত হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা এই বোমার ব্যবহারকে যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচনা করে থাকেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়া এই গুচ্ছ বোমার ব্যবহার করছে। ইউক্রেনও রণাঙ্গনে টিকে থাকতে একই পথে হাঁটছে।
এবার যুদ্ধক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে রাশিয়াকে ঘায়েল করতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে এই মারণাস্ত্র চাইছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র সেই ডাকে মৃদু সাড়া দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই বোমা ইউক্রেনের হাতে গেলে বেসামরিক নাগরিকরা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বেন বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই যাদ্ধে বাড়বে যুদ্ধাপরাধের শঙ্কাও। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা রাশিয়াকে আরো উস্কে দিতে পারে। সবমিলিয়ে চলমান পরিস্থি হয়ে উঠতে পারে আরো জটিল।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল