ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিচ্ছেদের পর আলোচনায় প্রথম ডেটে সোফিকে বলা ট্রুডোর সেই প্রতিশ্রুতি
অনলাইন ডেস্ক
সোফি গ্রেগোয়ার ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

জাস্টিন ট্রুডো, কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বয়স ৫১ বছর। ১৮ বছর আগে ২০০৫ সালের ২৮ মে তিনি বিয়ে করেন সোফি গ্রেগোয়ারকে, যার বর্তমান বয়স ৪৮ বছর। দীর্ঘ এই দাম্পত্যজীবনে তিন সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। বড় সন্তানের বয়স ১৫ বছর। দ্বিতীয়জনের ১৪ বছর এবং তৃতীয়জনের বয়স নয় বছর।

আচমকাই দেড়যুগের এই সংসার জীবনের ইতি ঘোষণা করেছেন এই দম্পতি। তাদের বিচ্ছেদের অপ্রত্যাশিত ঘোষণাটি অনেককেই বিস্মিত করেছে। 

ট্রুডো বুধবার তার ইনস্টাগ্রামে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। সোফিও তার ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন একই ঘোষণা। 

আগে থেকেই নানা কারণে আলোচিত ট্রুডো-সোফি দম্পতি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ট্রুডোর সফলতা ও জনপ্রিয়তা, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের সরলতার কারণে সারা বছরই গণমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন তিনি। তাদের দাম্পত্যজীবনও অনেকের কাছেই ‘ঈর্ষণীয়’ ছিল। তা নিয়ে হরদম চর্চাও লক্ষ করা গেছে। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর নতুন করে আলোচনায় এই জুটি। এই আলোচনায় ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ের প্রসঙ্গেও ঘুরে-ফিরে আসছে। 

ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ে নিয়ে আগেও অনেক প্রতিবেদন হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন করেছিল কানাডার অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘নার্সিটি’। 

নার্সিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোফির সঙ্গে ট্রুডোর পরিচয়-প্রেম-বিয়ের গল্পটি ছিল অসাধারণ। তারা পরস্পরকে ছোটবেলা থেকেই চিনত, জানত। কারণ, সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের সহপাঠী। এমনকি ছোটবেলায় ট্রুডোদের বাড়িতে সোফি আসা-যাওয়া করতেন, আড্ডা দিতেন।

তবে ট্রুডো-সোফি সত্যিকার অর্থে পরস্পরকে ‘জানেন-বোঝেন’ উভয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর।

২০০৩ সালে ট্রুডো ও সোফি একসঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সে সময় তারা একে অপরের সঙ্গে ‘নতুন’ করে পরিচিত হন। তখন তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিছুদিন পর ট্রুডোকে ইমেইল করেন সোফি। ইমেইলে সোফি লিখেন, “ট্রুডোর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারটি তিনি উপভোগ করেছেন। কিন্তু সোফির এই ইমেইলের কোনও জবাব দেননি ট্রুডো।”

একই বছরের গ্রীষ্মের শেষ দিকে সড়কে ট্রুডো-সোফির দেখা হয়ে যায়। এই দেখায় ট্রুডোকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন সোফি। তবে এবার সোফিকে ট্রুডো তার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।

সোফি তখন বলেছিলেন, “ট্রুডোর যদি সত্যিই তার (সোফি) সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তিনি যেন তাকে (সোফি) সেই ইমেইলে জবাব দেন।”

প্রথম সেই ডেটে সোফিকে ট্রুডো বলেছিলেন, “তিনি তার বাকি জীবন সোফির সঙ্গে কাটাতে চান।”

ট্রুডো জানিয়েছিলেন, “এমন ঘোষণার পর তারা দুজনই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কারণ, তারা দু’জনই খুব সংবেদনশীল মনের মানুষ।”

ট্রুডো-সোফির সম্পর্কের গল্প এগিয়ে চলে।

প্রথম ডেটের এক বছরের বেশি সময় পর সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। ২০০৫ সালের ২৮ মে তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। সংসার শুরু হয়। দীর্ঘ দেড়যুগে তাদের সংসার আলো করে আসে তিনটি সন্তান। কিন্তু জীবনের এই পর্বে এসে সেই প্রতিশ্রুতির ইতি টানলেন ট্রুডো-সোফি। সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে পারলেন না। ১৮ বছরেই নিঃশেষ হয়ে গেল তাদের প্রেম জীবনের অক্সিজেন। প্রথম ডেটের সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে আলাদা হয়ে গেলেন আলোচিত এই দম্পতি। সূত্র: স্টাইল কাস্টার, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, ব্লুমবার্গ, সিবিসি, দ্য টেলিগ্রাফ

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর