ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ট্রুডো-সোফির বিচ্ছেদ, এবার ‘ফার্স্ট লেডির’ ভূমিকা কী হবে
অনলাইন ডেস্ক
জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো ১৮ বছরের সংসারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রুডোর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে গ্রেগোয়ার ট্রুডো বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক এবং সরকারি পদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে সরকারপ্রধানের স্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বা পদবি/উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। 

গভর্নমেন্ট অব কানাডার স্টাইল অব অ্যাড্রেস ওয়েবপেজ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন দাতব্য কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান এবং প্রভাব ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। তিনি নারীর অধিকার, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, খাওয়ার অনিয়ম, শারীরিক কার্যকলাপ ও শরীরচর্চাসহ আরও অনেক ইস্যুতে বক্তব্য রাখতেন।

লিবারেল পার্টি বায়ো পেজ অনুসারে, তিনি প্ল্যান কানাডার বিকজ আই এম এ গার্ল` উদ্যোগ এবং ফিটস্পিরিট ফাউন্ডেশনের একজন সরকারি মুখপাত্র। 

গ্রেগোয়ার ট্রুডো আধা-সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশে কানাডাকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের স্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং তার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন। তবে রাশিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার ওপর।

বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরেও সরকারি পদের দায়িত্ব থেকে গ্রেগোয়ার ট্রুডোকে সরিয়ে দেওয়া হবে না।

কানাডার গভর্নর জেনারেলের স্পাউসকে হিজ/হার এক্সিলেন্সি বা মহামান্য হিসেবে সম্বোধন করা হয়। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর কোনো উপাধি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে ফার্স্ট লেডি বা স্বামীকে ফার্স্ট জেন্টেলম্যান উপাধি রয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পত্নীর কোনো স্বীকৃত পদবী বা পদ বা উপাধি নেই।

জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ারের ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাদের বিচ্ছেদের অপ্রত্যাশিত ঘোষণাটি অনেককেই বিস্মিত করেছে। সোফি ও ট্রুডো ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা দিয়েছেনতারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন, যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান।’ 

ট্রুডোর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের এখনও জনসমক্ষে একসাথে দেখা যাবে। বিচ্ছেদের জন্য যেসব আইনগত এবং নৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। এবং সেগুলো চলমান রেখে তারা এগিয়ে যাবেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী সপ্তাহে তারা পরিবার হিসেবে ছুটি কাটাতে যাবেন।

জাস্টিন ট্রুডো কানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর