ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কে এই আলোচিত প্রিগোজিন?
অনলাইন ডেস্ক
ইয়েভগিনি প্রিগোজিন

ইয়েভগিনি প্রিগোজিন, বিশ্বজুড়ে একটি আলোচিত নাম। রাশিয়া ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে তার ভাড়াটে বাহিনীর দুর্দান্ত সাফল্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এই বাহিনীর নাম। তখনও ততটা আলোচিত ছিল না ইয়েভগিনি প্রিগোজিন নামটি। কিন্তু গত জুনে সেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করেন প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। মুহূর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ব্যাপকভাবে আলোচনায় ওঠে আসে প্রিগোজিন নামটি। যদিও বিদ্রোহ প্রত্যাহার করে সমঝোতার মাধ্যমে দেশ ত্যাগ করে বেলারুশে পাড়ি জমান ওয়াগনার প্রধান। কিন্তু দুই মাসের মাথায় বুধবার বিমান বিধ্বস্ত তিনি নিহত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় বিমান বিধ্বস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেট জেটটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। তেভের অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমের খুজেনকিনো গ্রামের কাছেই এ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে।

কে এই প্রিগোজিন?

সেন্ট পিটার্সবুর্গে বেড়ে ওঠা প্রিগোজিনের। ১৯৮০-এর দশকে চুরি ও রাস্তায় ছিনতাইয়ের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৯ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন প্রিগোজিন।

১৯৯০ সাল থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার পরিচয়। ক্রেমলিনের বিভিন্ন খাবারের চুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে ধনকুবের হয়ে ওঠেন তিনি। একসময় তিনি ‘পুতিনের শেফ’ হিসেবে পরিচিত পান।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল ডোনবাসে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পর প্রিগোজিন একজন নির্মম সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি গড়ে তোলেন ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। এই বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই করে। বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার স্বার্থের পক্ষে কাজ করেছে।

ওয়াগনার যোদ্ধারা সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, সুদান, লিবিয়া, মোজাম্বিক, ইউক্রেন ও সিরিয়াতে রয়েছে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনএন। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর আলোচনায় চলে আসেন প্রিগোজিন। পূর্ব ইউক্রেনের সলেদার শহর দখলের রুশ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াগনার যোদ্ধারা। এটি বাখমুত থেকে কয়েক মাইল উত্তর-পূর্ব দিকে।

গত কয়েক মাস ধরে প্রিগোজিন রাশিয়ার সেনাবাহিনী, সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে আসছেন। মে মাসে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাখমুত থেকে তার যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করা হবে। এর আগে কয়েক মাস ধরে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ না পাওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি। 

এরপর তিনি ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরুর পরই তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমালোচনায় রুশ সরকারের অনেকেই ক্ষুব্ধ এবং তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সূত্র: সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর