ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কখনও বন্যা হয়নি চীনের এমন এলাকাও প্লাবিত
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিপরীতধর্মী চরম আবহাওয়ার শিকার হচ্ছে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন। একদিকে ভয়াবহ বন্যা, অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা দেশটির জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এবারের বন্যা এমন অঞ্চলেও আঘাত এনেছে যেখানে আগে কখনও বন্যা দেখেননি তারা।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। সামনে আরও খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্তর পূবাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশের ধ্বংসযজ্ঞ পুরো দেশের খাদ্য সরবরাহের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।

সেখানকার বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী ঝাং জুনহুয়া। তিনি বলেন, “আমি পুরো জীবনে কখনও এখানে বন্যা দেখিনি এবং আমরা এমনটা আশা করিনি।”

তিনি আরও জানান, পরিবার ও বন্ধুরা নিরাপদে আছে। তারা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন আগে। তবে গ্রামের প্রত্যেকের জন্য সামনের কয়েকমাস খুব কঠিন হবে।

চলতি মাসে ওই এলাকার বিখ্যাত উচাং ধান প্রায় ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। যে মাঠগুলো আগে সবুজে পরিপূর্ণ ছিল, বর্তমানে সেইসব স্থান বাদামী রূপ ধারণ করেছে। কেননা, ধানের চারাগুলো মারা গেছে।

ঝাও লিজুয়ান নামের আরেক কৃষক বলেন, যে জমিতে আমরা আমাদের ফসল রোপণ করেছি সেগুলো সবই ডুবে গেছে। আমরা এই বছর আর রোপণ করতে পারব না।

৫৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, এই ক্ষতি অপূরণীয়। আমাদের এখানে হাজার হাজার একর ধানিজমি রয়েছে। পানি আসতে দেখে আমি কেঁদেছিলাম। সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এখন টাইফুনের ভয়ে আছি।

সাম্প্রতিক বন্যায় চীনে অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।

আগের তিন বছরের কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কার পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছিল চীন। কিন্তু এবারের বন্যা অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও বিস্তৃত করেছে।

এক দশকের ব্যবধানে চীনে বন্যার হার দশগুণ বেড়েছে। ২০১১ সালের গ্রীষ্মে ছয় থেকে আটটি বন্যা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ে ১৩০টির বেশি ও আগস্টে ৮২টি বন্যা নথিবদ্ধ করা হয়। এভাবে দিন জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে চীনে। সূত্র: বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর