ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জানালেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস কর্মী
প্রিন্সেস ডায়ানার শেষ কথা কী ছিল?
অনলাইন ডেস্ক
প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের পোশাকের পেছনের অংশ ছিল ২৫ ফুট লম্বা। ছবি : ফক্স

১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট দুর্ঘটনায় ডায়ানার মৃত্যু খবর শুনে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে বিশ্ববাসী। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পন্ত দে ল’আলমা টানেলে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রথম যে কয়জন ব্যক্তি সবার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন, তাদের একজন ফরাসি ফায়ার সার্ভিস কর্মী জেভিয়ের গোরমেলন। 

গাড়ির ভেতরে রক্তাক্ত সোনালি চুলের এক নারীকে টেনে বের করে আনেন জেভিয়ের। তখনো ওই নারী বেঁচে ছিলেন। অস্ফুট স্বরে তিনি কিছু একটা বলতে চাচ্ছিলেন। জেভিয়ের পরে বুঝতে পারেন, ওই নারী সাধারণ কেউ নন। তিনি প্রিন্সেস ডায়ানা, ‘জনমানুষের রাজকন্যা’। 

ডায়ানা প্রাণে বেঁচে যাবেন, এমনটাই আশা ছিল জেভিয়েরের। কিন্তু তার সেই আশা পূরণ হয়নি। ডায়ানা ও তার প্রেমিক দোদি আল-ফায়েদ এবং গাড়িচালক হেনরি পল নিহত হন। শুধু বেঁচে ছিলেন ডায়ানার দেহরক্ষী ট্রেভর রিস জোনস।

সেই দুর্ঘটনার দুই দশক পর দ্য সান পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেভিয়ের জানান ডায়ানার শেষ কথা ছিল।

সাক্ষাৎকারে জেভিয়ের বলেন, ‘আমি এখনো পুরো ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পাই। আমি কখনো ভুলতে পারব না। প্রতিবছর এই দিন যখন আসে, আমি সেই ভয়াবহ ঘটনা মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা, রক্ত, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ডায়ানা। অস্ফুট স্বরে তার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল, ‘হায় ঈশ্বর, এটা কী ঘটে গেল।’ সম্ভবত এটাই ছিল জনমানুষের প্রিন্সেসের শেষ কথা। তবে ডায়ানার এ কথার উত্তর জেভিয়ের দিয়েছিলেন কি না, সাক্ষাৎকারে তা নিশ্চিত করে বলেননি তিনি।

জেভিয়ের বলেন, গুরুতর আহত ডায়ানা সম্ভবত হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। পরে ভোর ৪টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর