ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মরক্কো ভূমিকম্প: পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে যে গ্রাম
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর পশ্চিম ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই হাজার ১২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ দুই হাজার চার শতাধিক।

ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দেশটির গ্রামের পর গ্রাম ও শহরের পর শহর। 

তেমনই একটি গ্রাম তিখত। ভূমিকম্পে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায় ১০০ পরিবার অধ্যুষিত গ্রামটি। উদ্ধারকর্মীরা ওই গ্রামের ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন। রবিবার তেমনই ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওমর এইত এমবেরেক। কাঁদতে পারছিলেন না তিনি। কিন্তু তীব্র কষ্টে সজল হয়ে ওঠা চোখে উদ্ধার তৎপরতা দেখছিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ‘এএফপি’ প্রতিবেদক তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে প্রথমে সাড়া দেননি ওমর। একপর্যায়ে তিনি বলেন, “আপনি আমার কাছে কী জানতে চান? আমার সব শেষ হয়ে গেছে।”

পরে ধীরে ধীরে তিনি জানান, এখন তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন— সেটি তার বাগদত্তা মিনা এইত বিহির বাড়ি। আর এক সপ্তাহ পরেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাদের।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ভূমিকম্প হওয়ার আগমুহূর্তেও মোবাইল ফোনে ওমরের সঙ্গে কথা বলছিলেন মিনা। ভূমিকম্প শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

উদ্ধারকারী বাহিনীর কর্মীরা তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে মিনার মরদেহ উদ্ধার করেছে। ধ্বংসাবশেষের আবর্জনা সরিয়ে যখন মিনাকে উদ্ধার করা হয়, সেসময়ও তার হাতে মোবাইল ফোন ধরা ছিল। সেই ফোনটি ওমরকে হস্তান্তর করেছেন কর্মীরা।

ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া মরক্কোর বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের মতো তিখতও এখন ধ্বংসাবশেষের আবর্জনা, ভাঙাচোরা বাসন-কোসন, পরিত্যক্ত জুতা প্রভৃতি নানা জঞ্জালে ভর্তি।

ভূমিকম্পে নিজের পরিবারের সদস্যদের হারানো তিখতের আরেক বাসিন্দা মহসিন আকসুম (৩৩) বলেন, “এখানে জীবন শেষ হয়ে গেছে। এই গ্রাম এখন মৃত।” সূত্র: আরব নিউজ

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর