ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কিমকে দেওয়া পুতিনের উপহার নিয়ে কেন এত উদ্বিগ্ন আমেরিকা-ইউরোপ?
অনলাইন ডেস্ক
কিম জং উন (বামে) ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ায় দীর্ঘ ছয় দিনের সফর করলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এরই সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে রাশিয়া ছেড়েছেন তিনি। এই সফরে কিমকে বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে রয়েছে- বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ড্রোন, রাইফেল। আর কিমকে এসব উপহার এবং উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো।

তাদের আশঙ্কা, রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দিতে পারে উত্তর কোরিয়া। যেসব অস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।

সফরের শুরুতেই কিমকে দেওয়া হয় রাজকীয় অভ্যর্থনা। এছাড়া এ সফরে তিনি যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছেন তার বেশিরভাগই ছিল সামরিক স্থাপনা। 

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো উত্তর কোরিয়া। আর তাদের খাদ্য থেকে জ্বালানি, জ্বালানি থেকে সামরিক প্রযুক্তি সবই প্রয়োজন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তাস জানিয়েছে, কিম উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চল প্রিমোরের গভর্নর তাকে একটি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও কয়েকটি ড্রোন উপহার দেন।

এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট বুক, ঘাড়, গলা এবং কুঁচকিকে রক্ষা করতে সক্ষম। এছাড়া এটি অন্য জ্যাকেটের তুলনায় ওজনে হালকা।

অপরদিকে কিমকে যেসব ড্রোন দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি হলো- আত্মঘাতী ড্রোন। এছাড়া উপহারের তালিকায় রয়েছে জেরানিয়াম-২৫ বিমান সদৃশ নজরদারি ড্রোন। 

এগুলোর পাশাপাশি তাকে এমন কিছু কাপড় উপহার দেওয়া হয়েছে যেগুলো থার্মাল ইমাজিং ক্যামেরায় ধরা পড়বে না। এসব পণ্য তৈরি করা হয়েছে ওই অঞ্চলে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিমের এই সফরটি ছিল পুরোপুরি সামরিক কেন্দ্রিক। তিনি তার সফর শুরু করেন ভোসতোচনি রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র পরিদর্শনের মাধ্যমে। সেখানে তিনি পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন।

ওই সফরের পর কিম বলেন, তিনি রাশিয়ার পক্ষে এবং তাদের পবিত্র যুদ্ধের পক্ষে থাকবেন। অপরদিকে পুতিন উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রযুক্তিগত সহায়তার ইঙ্গিত দেন।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেসিডেন্ট কিম রাশিয়ার বিমান উৎপাদন খাত নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছেন। কিমকে রাশিয়া তাদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তাদের অত্যাধুনিক বিমানগুলো দেখায়।

কিমের এই সফরটি নিয়ে চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইউক্রেন এবং ইউরোপের দেশগুলো। সূত্র: সিএনএন

বিডি প্রতিদিন/কালাম



এই পাতার আরো খবর