কার্গো জাহাজ ‘রেজিলিয়েন্ট আফ্রিকা’ বৃহস্পতিবার তুরস্কের বসফরাস প্রণালীতে পৌঁছেছে। এটা ইউক্রেন থেকে শস্য বোঝাই প্রথম জাহাজ যা একটি অস্থায়ী করিডোর ব্যবহার করে যাত্রা করেছিল।
কিয়েভ বলেছে, জাহাজটি চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের চোরনোমোরস্ক বন্দর থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন শস্য নিয়ে রওনা হয়।
ইউক্রেন গত মাসে আফ্রিকান ও এশীয় বাজারগামী জাহাজগুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য একটি ‘মানবিক করিডোর ঘোষণা করে।
গত জুলাই মাসে কৃষি রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার শর্ত উপেক্ষা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। দেশটির অভিযোগ, রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা রক্ষা করা হয়নি।
এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে কৃষ্ণসাগরের জাহাজ চলাচল পথ ও বন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় মস্কো। এতে করে ইউক্রেনের উৎপাদিত শস্য বন্দরে আটকে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি স্বাভাবিক করতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের ২২ জুলাই রাশিয়া–ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। যা কার্যকর হয় গত বছরের আগস্ট মাসের শুরু থেকে।
আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় খাদ্যশস্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ শস্যচুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার আশায় কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী রাশিয়ার সোচি শহরে গত ৫ সেপ্টেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কিন্তু বৈঠকের নিজেদের দাবি পূরণের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে দেন পুতিন।
বৈঠকে পুতিন জানান, রাশিয়ার কৃষি রপ্তানির বিষয়ে মস্কোর দাবি পশ্চিমা দেশগুলো পূরণ করলেই কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য নিরাপদে পাঠানোর চুক্তিতে ফিরবে তার দেশ। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল