আমেরিকায় কোভিড পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ব্যবসার মতো আলোর মুখ দেখেনি হীরার ব্যবসা। কারণ, ক্রেতারা বিলাস দ্রব্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে দেশটিতে দাম কমছে হীরার।
‘জিমনিস্কি গ্লোবাল রাফ ডায়মন্ড ইনডেক্স’ অনুসারে, হীরার দাম এখন এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। শিল্প বিশ্লেষকরা এই মন্দার কারণ হিসেবে বলছেন- ক্রেতারা আর আগের মতো হীরা কিনছেন না।
এ বিষয়ে হীরা বিশ্লেষক পল জিমনিস্কি বলেন, মহামারী চলাকালীন ভোক্তারা রেস্টুরেন্টে যাওয়া ও ভ্রমণ করা থেকে বিরত ছিলেন। তাই এই সময় তারা বিলাস দ্রব্য কেনার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এখন তারা ভ্রমণ করতে শুরু করায় হীরা কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মানুষ এখন বাইরে খাচ্ছে, ভ্রমণ করছে এবং বিলাসবহুল পণ্য বাদ দিয়ে জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য অর্থ ব্যয় করছে।
স্বাধীন হীরা বিশ্লেষক ইদাহান গোলান বলেন, হীরার বাজার সম্পূর্ণরূপে ভোক্তা-চালিত। ক্রেতাদের চাহিদার উপরই হীরার দাম নির্ভর করে।
খুচরা বিক্রেতারা সাধারণত বিজ্ঞাপনের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঢেলে ভোক্তাদের হীরা কেনার চাহিদা তৈরি করে। ২০২১ ও ২০২২ সালে ইতিহাসের সবথেকে বেশি হীরার গহনা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু মহামারী শেষ হওয়ার পর সেই চাহিদায় ভাটা পড়েছে।
যদিও হীরার দাম কমছে তারপরেও দোকানে এখন এক ক্যারেটের গোলাকার হীরার দাম ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় গড়ে তিন শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, শীতকালীন ছুটির সময় এবং ২০২৪ সালের শুরুর দিকে হীরার খুচরা বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। শীতের মাসগুলোতে হীরা বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া ক্রিসমাস এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে সব থেকে বেশি হীরার গয়না বিক্রি হয়। সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/আজাদ