ঢাকা, শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইসরায়েলকে বার্তা দিয়ে গোলান মালভূমিতে সেনা মোতায়েন রাশিয়ার: রিপোর্ট
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলকে চিন্তায় ফেলে সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘আরটি’- এর একটি ভিডিও প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের অধিকৃত সীমান্ত এলাকায় রুশ সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে রাশিয়ার পতাকা উড়ছে।

গাজা যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের জন্য এটি একটি কঠোর বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক বিমানবন্দরে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় রাশিয়া। এই আবহে সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে রুশ সেনা মোতায়েনকে ইসরায়েলের জন্য কঠোর বার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুধু তা-ই নয়, চলমান গাজা যুদ্ধেও ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের ওই উপত্যাকায় গণহত্যা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

এদিকে, অধিকৃত গোলান মালভূমি নিয়ে জাতিসংঘেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলকে গোলান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এতে রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত, চীন ও সৌদি আরবসহ মোট ৯১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আটটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ভোটদানে বিরত ছিল ৬২টি দেশ।

জানা গেছে, আলজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা, মিসর, জর্ডান, ইরাক, কাতার, উত্তর কোরিয়া, কিউবা, কুয়েত, লেবানন, মৌরিতানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া ও তিউনিসিয়াসহ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর একটি গ্রুপ প্রস্তাবটির সহ-লেখক। 

প্রস্তাবে আটটি বিধান রয়েছে। প্রথমটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ১৯৮১ সালের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৪৯৭ নং প্রস্তাব বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে, যা ইসরায়েলের সংযুক্তি বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করে।

তাছাড়া, ‘নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরায়েলকে ৪ জুন ১৯৬৭ সালের সমস্ত দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমি থেকে সরে আসার জন্য আরও একবার দাবি করা হয়েছে।’ এটি আরও নির্ধারণ করে ‘সিরিয়ার গোলানের অব্যাহত দখলদারিত্ব ও এর প্রকৃত অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলে একটি ন্যায়সঙ্গত, ব্যাপক সমন্বিত এবং স্থায়ী শান্তি অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করে।’

এছাড়াও, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ইসরায়েলকে সিরিয়া ও লেবাননের ব্যাপারে সঠিক পথে ফিরে আসতে আলোচনা পুনরায় শুরু করার এবং পূর্ববর্তী আলোচনার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারগুলোকে সম্মান করার আহ্বান জানায়। সূত্র: তুর্কি নিউজ পেপার, ইউএন ওয়েব সাইট, দোহা নিউজ

বিডি প্রতিদিন/আজাদ



এই পাতার আরো খবর