গত ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ইসরায়েল বিরোধী অভিযানে ইরানের অভ্যন্তরে ইহুদিবাদীদের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। তেহরানে নিযুক্ত গাজার ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের প্রতিনিধি নাসের আবু-শারিফ এ খবর দিয়েছেন।
তিনি বুধবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় একথা বলেন।
অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযানের কথা উল্লেখ করে শারিফ বলেন, “ওই অভিযানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েল সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সার্ভার গাজা উপত্যকায় নিয়ে আসে।”
তিনি বলেন, “ওই সার্ভারে ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করা বহু গুপ্তচরের নাম রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ইরানের নাগরিক।”
এসব গুপ্তচর ইরানের অভ্যন্তরেই বসবাস করছে বলেও তিনি জানান। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের দশকের পর দশক ধরে চলা নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে গত ৭ অক্টোবর অভিযান চালান ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। তারা গাজা সীমান্তের অদূরে ইসরায়েলের প্রায় ৫০টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। অভিযানে প্রায় ৪০০ সেনাসহ মোট ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা প্রায় আড়াই ব্যক্তিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়।
এ সম্পর্কে আবু-শারিফ আরও বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযান ছিল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি বিশাল অর্জন। কারণ সেদিন ইসরায়েলসহ গোটা বিশ্বের সব গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।
তেহরানে নিযুক্ত জিহাদ আন্দেলনের প্রতিনিধি আরও বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযানে প্রমাণিত হয়েছে, কারো সাহায্য ছাড়া ইহুদিবাদী সরকার একা টিকে থাকতে পারবে না।
ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সরকারের অন্ধ সমর্থনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এমনকি আমরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি পাশবিক হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যুদ্ধের কমান্ড সেন্টারেও প্রবেশ করতে দেখেছি।”
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের আগে ইসরায়েলি নাগরিকরা মনে করত তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু আল-আকসা তুফান অভিযান তাদের সে কল্পনার ফানুসকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। এছাড়া, ওই অভিযানে ইসরায়েলের অর্থনীতি, কৃষি ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ