গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাসের যুদ্ধে এরই মধ্যে সেখানে ১০ হাজার বারের বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ জানায়, হামাসের কম্যান্ড সেন্টার, টানেল ও অস্ত্রাগারে মূলত আঘাত করা হয়েছে। তবে এই দাবি এখনই স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এই ঘোষণা এসেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে ইসরায়েলের সমালোচনা হওয়ার পর। ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় প্রচুর বেসামরিক মানুষ মারা গেছে বলে অভিযোগ।
রবিবার হামাসের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গাজায় লড়াই শুরুর পর থেকে ১৫ হাজার ৫২৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৬ জন।
জাতিসংঘের হিসাব, গাজার ২২ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে, এরই মধ্যে গাজা ভূখণ্ডের সর্বত্র হামাসের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের সেনা আবারও অপারেশন শুরু করে। তার আগে ইসরায়েলের সেনা মূলত গাজার উত্তরভাগেই অপারেশন চালিয়েছিল। কিন্তু এখন দক্ষিণ গাজাতেও বিমান হামলা করছে ইসরায়েল।
গাজার বেসামরিক মানুষের একটা বড় অংশ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দক্ষিণ গাজায় চলে গিয়েছিল।
কিন্তু রবিবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র হাগারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনাও দক্ষিণ গাজায় গেছে। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সেনা হামাসের বিরুদ্ধে গ্রাউন্ড অপারেশনের পরিধি বাড়িয়েছে। তারা এখন গাজা ভূখণ্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। তারা হামাসের মুখোমুখি হচ্ছে ও তাদের মারছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তাসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরের পূর্ব দিকে গেছে। সূত্র: বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল, ফ্রান্স২৪
বিডি প্রতিদিন/আজাদ