ঢাকা, রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি, বেথলেহেম বড়দিন পালন করবে নীরবে-আলোকসজ্জাহীন
অনলাইন ডেস্ক

খ্রিস্টানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন আসন্ন। তবে এবছর অন্যান্য বারের মতো বড়দিনের কোনও আমেজ নেই বেথলেহেমে। 

এ বছর সেখানে কোনও উল্লেখযোগ্য আয়োজন হবে না, থাকবে না বড়দিনের সজ্জার আইকনিক ক্রিসমাস ট্রি কিংবা আলোর ঝলকানি। গাজার নিরীহ মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশে অনাড়ম্বরেই নিজেদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত খ্রিস্টানরা।

পবিত্র এই ভূমির (বেথলেহেম) গির্জা প্রধান বলেছেন, আমরা এবারের বড়দিন সংযমের সাথে পালন করবো। এবার তারা ফ্যানফেয়ার বা আলোকসজ্জাও না করার ঘোষণা দিয়েছেন। 

যুদ্ধ না চললে এ সময়ে পর্যটকে পূর্ণ থাকত বেথলেহেম। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বেথলেহেমে জড়ো হতেন খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা। তবে এখন এই শহর সম্পূর্ণ ফাঁকা। ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে আলাদা আবেদন রয়েছে বেথলেহেম শহরের।

অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেরুজালেমের প্রতিবেশী এই বেথলেহেম। গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে এই শহরও। বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের। চলমান সংঘাতে গাজায় আটকে পড়েছেন বেথলেহেমের অনেকে। তাছাড়া দেড় মাসের বিরতিহীন যায়নবাদী হামলায় গাজার মানুষদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া মানবিক বিপর্যয়েও অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে বড়দিনের আনন্দ। এ নিয়ে শহরের সিনিয়র ফ্রান্সিসকান ফাদার ইব্রাহিম ফালতাস বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শহরটা আনন্দে ঝলমল করে। তবে এবার সবখানে যেন বিষাদ ভর করেছে। কোভিডের সময়ও শহরটা এতো ফাঁকা ছিল না।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হাজার হাজার নিরীহ নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা কীভাবে আনন্দ করি?’

সূত্র: রয়টার্স

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর