ইউক্রেনে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার রাতভর রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। এতে প্রায় ২০০ মানুষ হতাহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছে ১৬০ জনের বেশি। হতাহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, “রাশিয়ার অস্ত্রাগারে যত গোলাবারুদ-ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তার প্রায় সবই উজাড় করে দিয়েছে রুশ বাহিনী….অন্তত ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অজস্র ড্রোন ছোড়া হয়েছে পুরো ইউক্রেন লক্ষ্য করে। তবে আমরা অধিকাংশই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।”
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর সেনারা সেসবের মধ্যে ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ইউক্রেনের সামরিক ও অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল এসব ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, রুশ বাহিনীর শুক্রবারের হামলায় রাজধানী কিয়েভে ৮ জন, ঝাপোরিজঝিয়ায় ৮ জন, দানিপ্রোতে ৬ জন, কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দরশহর ওডেসায় দুই শিশুসহ ৪ জন, খারকিভে ৩ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে ২ জন নিহত হয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম রুশ বাহিনী এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে– উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন, সামনে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা করছেন তারা।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত এবং আহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। সেনা স্থাপনার পাশপাশি হাসপাতাল, স্কুল, গুদামঘর এবং আবাসিক ভবনের মতো বেসামরিক স্থাপনাতেও আঘাত হেনেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/আজাদ