ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটানোর জন্য বাগদাদ সরকার প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিয়া আস-সুদানি।
বিষয়টি তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গকে জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডে দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের অবকাশে স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে এক বৈঠকে একথা জানান ইরাকি প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শিয়া আস-সুদানি বলেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার পরও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আওতায় মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে সামরিক সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বাগদাদ প্রস্তুত থাকবে।
বৈঠকে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা শক্তিশালী করতে বাগদাদ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রশংসা করেন স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেন, বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অবশিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইরাকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে দেশটির সরকার সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে।
ন্যাটো মহাসচিব নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে ইরাকের সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করতে তার সংস্থার প্রবল আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
চার বছর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়ন মার্কিন সেনারা বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরান ও ইরাকের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাস-বিরোধী সেনা কমান্ডারকে হত্যা করে। এরপর ইরাকি পার্লামেন্ট দেশটি থেকে বিদেশি সেনা বহিষ্কারের জন্য একটি আইন পাস করে। তবে গত চার বছরে কঠোরভাবে ওই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ইরাকি পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার মোহসেন আল-মান্দালাভি চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ইরাক থেকে বিদেশি সেনা বহিষ্কার করার জন্য যে আইনটি পাস হয়েছিল তা বাতিল বা পরিবর্তন করা হবে না; কারণ, ওই বিলের প্রতি জনগণের প্রবল সমর্থন রয়েছে।
মান্দালাভি আইনটি অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শিয়া আস-সুদানি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ করার জন্য আমাদেরকে বিদেশি সেনাদের ওপর নির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি প্রতিদিন/আজাদ