ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ইস্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
তিনি এই রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, “ইসরায়েলের ‘নৈতিকতার পাঠের’ প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও বলেন, “যারা বিচার চায়, তারা হেগের কোর্ট চেম্বারগুলোর চামড়ার চেয়ারে এটি খুঁজে পাবে না- তারা এটি খুঁজে পাবে গাজায় হামাসের টানেলে, যেখানে ১৩৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছে এবং যেখানে আমাদের শিশুদের হত্যাকারীরা লুকিয়ে আছে।”
যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মন্ত্রিসভায় ঐকমত্য আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত আইসিজের রায়ের বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করতে।
তবে তার সরকারের অনেক সদস্যই সেই নির্দেশ অমান্য করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
সংক্ষেপে আইসিজের রায়
শুক্রবার গাজায় গণহত্যা ও গণহত্যার উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
তবে যুদ্ধবিরতি বা ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধের কোনেও নির্দেশ দেননি বিচারকেরা।
গাজায় মানবিক সংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।
আইসিজে বিচারক প্যানেলের প্রেসিডেন্ট জোয়ান ডনোঘু বলেন, “আদালত এই অঞ্চলে উন্মোচিত হওয়া মানবিক ট্র্যাজেডির মাত্রা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত এবং প্রাণহানি ও মানবিক দুর্ভোগের অব্যাহত ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”
তিনি জানান, আদালত মনে করে- গাজায় ইসরায়েলের কিছু কর্মকাণ্ড অন্তত জাতিসংঘের জেনোসাইড (গণহত্যা) কনভেনশনের আওতায় পড়ে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশনাসহ নয়টি বিষয়ে সাউথ আফ্রিকা হেগভিত্তিক এই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল। তার মধ্যে গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা সংগঠিত করছে বলেও তাদের অভিযোগ ছিল।
ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা বাতিলের আবেদন করে, যা আদালত মেনে নেয়নি। অর্থাৎ, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ না দিলেও আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যা ও গণহত্যার উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সাধ্যের মধ্যে সব ব্যবস্থা নিতে বলেছে। সে অনুযায়ী ইসরায়েল কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা একমাসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্র: আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আই
বিডি প্রতিদিন/আজাদ