পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষে ত্রাণ সরবরাহ করেছে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা ‘আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস’। এই ত্রাণ সহায়তায় মোট ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হয়।
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ত্রাণের যত চালান গেছে, তার মধ্যে এটি বৃহত্তম বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই ত্রাণ পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য অন্য যেসব দেশের শিক্ষার্থী এই উদ্যোগে অংশ নেন, সেগুলো হল- ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে। মোট ৮০টি দেশের শিক্ষার্থীদের সংগৃহীত অনুদানের ভিত্তিতে ত্রাণের এই বহরটি সাজানো হয়েছে। তবে অনুদান সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল এই ৯ দেশের শিক্ষার্থীদের।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রাণ পাঠানো হয়।
এদিকে, এই যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের সরকারের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে এই তিন দেশের উদ্যোগে গাজায় রমজান মাস থেকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধের দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েল সরকারের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি আর হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক/আজাদ