রাশিয়াকে পাশ কাটিয়ে ফ্রান্স বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ‘সিপ্রির’ (SIPRI) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফরাসি অস্ত্র রপ্তানি ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ, রাশিয়ার আরও অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা এবং এর পাশাপাশি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ান অস্ত্র রপ্তানি হ্রাসের প্রধান কারণ।
ফ্রান্সের অস্ত্র রপ্তানির বৃহত্তর অংশের ৪২ শতাংশ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে এবং ৩৪ শতাংশ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।
সিপ্রির সিনিয়র গবেষক পিটার ওয়েসম্যানের মতে, ফ্রান্স যাকে কৌশলগত স্বায়ত্ত্বশাসন বলে তা অর্জন করার চেষ্টা করছে।
সিপ্রির গবেষক ক্যাটারিনা জোকিচও বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান অস্ত্রের যে বিশাল চাহিদা তৈরি হয়েছে তারই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে ফ্রান্স।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংকট সৃষ্টিকারী এবং পশ্চিমা যুদ্ধবাজ নীতিনির্ধারকরা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্ত্রের চাহিদা তৈরি করেছে। আর অস্ত্র রপ্তানিতে বর্তমানে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩০টি দেশ কিয়েভকে সামরিক সহায়তা হিসেবে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
এদিকে, ইউরোপের অন্যান্য দেশও তাদের অস্ত্র আমদানি বাড়িয়েছে; তারা আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র আমদানি করছে।
‘সিপ্রি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, ইউরোপের দেশগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আমেরিকা থেকে ৫৫ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করেছে। যেখানে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ।
সূত্র : পলিটিকো
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত