গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। তবে সম্ভাব্য যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েল প্রস্তুত বলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, শত্রু ইরানের সাথে তৈরি হতে পারে এমন যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার দেশ প্রস্তুত।
সিরিয়ার কনস্যুলেটে হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাত কর্মকর্তা নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ একজন কমান্ডারও ছিলেন। হামলায় কনস্যুলেট ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সাথে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রবিবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরায়েলের কোনো দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। তেহরান ইসরায়েলের সাথে সংঘাতকে একটি ‘ন্যায় ও আইনি অধিকার’ হিসেবে দেখে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ রবিবার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের হাতে থাকা ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।
যদিও দামেস্কে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশটির নেতারা বলেছেন, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কারণ গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহকে সহায়তা করছে ইরান। গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে হামাস ও হিজবুল্লাহ। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল