সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের ছোড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশই ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের হামলা ঠেকাতে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় হয়ে থাকতে পারে ইসরায়েলের।
ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও তার মিত্ররা সপ্তাহান্তে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে সফল হয়েছে। তবে এজন্য সম্ভবত এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্য দিতে হয়েছে।
সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধানের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রিম আমিনোচ এ পরিসংখ্যান দিয়েছেন।
ইসরায়েলকে কতগুলো ইন্টারসেপ্টর (ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক) নিক্ষেপ করতে হয়েছে তার হিসাব তুলে ধরেন তিনি। ইসরায়েলের দাবি, ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডানও ইরানি অস্ত্র ভূপাতিত করতে সহায়তা করেছে।
এদিকে দ্য ক্রাডলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েলি জোটের হিসাব ছাড়াই ইসরায়েলের খরচ হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার।
অপরদিকে ইরানের সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মূল্য মাত্র ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার যা তেল আবিবের ব্যয়ের মাত্র দুই দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ, ৩৮ দশমিক ৫৭ গুণেরও বেশি খরচ হয়েছে ইসরায়েলের। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল