পাকিস্তানের করাচিতে শুক্রবার পাঁচ জাপানি নাগরিকের গাড়িকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে প্রাণে বেঁচে গেছেন গাড়িতে থাকা নাগরিকররা। আত্মঘাতী হামলাকারীর সঙ্গে একজন বন্দুকধারীও ছিলেন। পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
করাচি পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, আত্মঘাতী হামলার এই ঘটনায় দুই পথচারী আহত হয়েছেন।
করাচি পুলিশের মুখপাত্র আবরার হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। এই পাঁচ জাপানি কর্মকর্তা তাদের রুটিন অনুযায়ী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে যাচ্ছিলেন। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে মারা যায় এবং দ্বিতীয়জন ক্রসফায়ারে নিহত হয়।’
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ করাচিতে এ হামলার জন্য এখনও কেউ দায় স্বীকার করেনি। এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
এর আগে আত্মঘাতী হামলায় পাঁচ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর মার্চে বেইজিং–সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কর্মরত চীনা প্রকৌশলীদের নিরাপত্তা জোরদার করে পাকিস্তান। চীনা বিনিয়োগের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত পাকিস্তানের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে গোয়াদর বন্দরের কার্যালয়ে হামলা চালানোর চেষ্টাকালে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত সাত জঙ্গিকে হত্যা করার কয়েকদিন পর এ হামলা চালানো হয়েছিল।
শুক্রবারের হামলায় বেঁচে যাওয়া জাপানি নাগরিকদের পুলিশি হেফাজতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও করাচি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র আবরার হুসাইন বেলুচ বলেন, “পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান ইউনিট ঘটনাস্থলের কাছেই অবস্থান করছিল। হামলার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে ফেলে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বলেছেন, পুলিশ যথা সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষা করেছে।
এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। জাপানি নাগরিকদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র : আল-জাজিরা, রয়টার্স বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ